টিম ওয়ার্ক- এই একটা ব্যাপারই অন্য দল থেকে এগিয়ে দিচ্ছে তাদের। দলগত নৈপুণ্যে আরেকটি জয় ধরা দিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হাতে। মাত্র ২১৫ রান পুঁজি নিয়ে তো লড়াই করাটা সহজ নয়। তারপরও মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ঠিকই উজাড় করে দিল নিজেদের। শেষ বিকেলের রোমাঞ্চে শাইন পুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ রানে হারাল লিজেন্ডসরা।
সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) শনিবার অনুষ্ঠিত ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের এই ম্যাচে টস ভাগ্য ছিল মাশরাফির পক্ষে। লিজেন্ডসরা শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য বড় পুঁজি গড়তে পারেনি। স্লো উইকেটে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলে ২১৫ রান। জবাব দিতে নেমে ভাল শুরুর পর পথ হারায় শাইনপুকুর। শেষটাতে এসে দুর্দান্ত বোলিং করে প্রতিপক্ষকে ৪৯ ওভারে ২০৬ রানে অলআউট করে লিজেন্ডসরা।
তার পথ ধরে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ৮ ম্যাচ খেলে ৬ষ্ঠ জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিজেন্ডসরা রয়েছে টেবিলের তিন নম্বরে। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। শীর্ষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রান তোলাটা সহজ ছিল না। স্লো উইকেটে অবশ্য তানজিদ হাসান তামিম ও রকিবুল হাসান গড়েন ৪৭ রানের জুটি। তানজিদের ব্যাটে ১৯ ও রকিবুলের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তারপর অবশ্য পথ হারায় দল। সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল ইনফর্ম ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানির ৫ রানে বিদায়। তবে নাঈম ইসলাম ঠিকই লড়লেন। নিজের ইর্ষণীয় ফর্ম ধরে রেখে এদিন তিনি থামেন ৪৪ বলে ৩২ রানে।
অবশ্য ইরফান শুক্কুর ব্যাট হাতে ওইভাবে দৃঢ়তা না দেখালে চ্যালেঞ্জিং স্কোর নাও আসতে পারতো। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৬২ বলে ৬৪ রানে থামেন। এছাড়া সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। শেষদিকে মাশরাফি করেন ১৪ রান। অপরাজিত ১১ রান আসে নাবিল সামাদের ব্যাট থেকে।
শাইনপুকুরের লিটন মন্ডল নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার রাজা।
এরপর জবাব দিতে নেমে শুরুটা মন্দ ছিল না। তবে অভিষেক মিত্র আর আনিসুল ইসলামকে ভয়ঙ্কর হতে দেননি মেহেদি হাসান রানা। এই জুটি ভাঙে ২৯ রানে। আনিসুল ফিরেন ১৬-তে। তারপর রাকিন আহমেদকে নিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরিয়ে অভিষেক। দুজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। অভিষেক ৮৩ বলে ৫৭ তুলে নাঈমের শিকার। রাকিন লড়েছেন অনেকটা সময়। তবে এবারও রানা হাল ধরেন। তিনি ফেরান ৬৭ রান তোলা রাকিনকে।
আর শেষ দিকে লো স্কোরিং এই ম্যাচে প্রাণ ফিরে আসে। বলে রান তোলার হিসাবে দাঁড়ায় লড়াই। তবে এখানে অভিজ্ঞতার জয় হয়েছে। মাশরাফির দল শেষটাতে এসে চমক দেখিয়ে অলআউট করে শাইনপুকুরকে। রানা ৫ ওভারে ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। নাঈম ২৩ রানে দুটি ও একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি, আল আমিন, চিরাগ তানবির হায়দার। সবাই মিলে জ্বলে উঠা যাকে বলে। এভাবেই শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে রূপগঞ্জ।
Discussion about this post