সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ড। তারপরও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। লাভ হল না। মঙ্গলবারই বাংলাদেশ ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ২১ জনের দলের ১৯ জনই দেশ ছেড়েছেন। ভিসা জটিলতায় পড়েছেন একজন ক্রিকেটার। তার সঙ্গে থেকে গেছেন দলের কোচ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা চট্টগ্রাম ছাড়েন। সকাল পৌনে নয়টার দিকে ক্যারিবীয় দল বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ঢাকা বিমানবন্দরে নেমেই মুম্বাইগামী বিমানে উঠে তারা। সেখান থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরবে ক্যারিবিয় দল। নিরাপত্তাহীনতায় সফর বাতিল করল তারা। সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছে দুপুর ১টায় জেট এয়ারওয়েজের সাপ্তাহিক ফ্লাইট উইন্ডিজ দলকে নিয়ে মুম্বাই গেছে। সেখান থেকে লন্ডন হয়ে বার্বাডোস।
এদিকে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন। তবে এর কোনো জবাব আসেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে গেছে। আমরা দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু শঙ্কিত নই আমরা।’
এর আগে সোমবার সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে সফর বাতিলের খবর নিশ্চিত করে। দেশে ফেরত যাওয়ার আগে পর্যন্ত দলটির ক্রিকেটার-কর্মকর্তারা হোটেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
সমস্যার সূচনা হয়েছিল গত শনিবার রাতে। ক্যারিবিয় যুবারা উঠেছে চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে। শনিবার রাত ৮টা ৪৭ থেকে ৪৮ মিনিটের মধ্যে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। তাতে হোটেলে বিশ্রামে থাকা ক্রিকেটাররা মারাত্মক ভয় পেয়ে যায়। জানা যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনেক ক্রিকেটারের রুম ছিল ককটেল বিস্ফোরিত ছাদের পাশে। তাতে তাদের রুমের জানাল কেঁপে ওঠে। ভয় পেয়ে যান তারা। এমন সহিংসতার সঙ্গে পরিচিত নয়, ক্যারিবিয় দলটি। তারপরই দ্রুত ক্যারিবিয় টিম ম্যানেজম্যান্ট খবরটা জানায় তাদের দেশের ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের।
এ অবস্থায় সেই ম্যাচটিই নয়, নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরো সিরিজ বয়কটের কথা জানিয়ে দেন তারা। যদিও রোববার সকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা। যেমনটা বলছিলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান, ’আমরা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার কথা বলেছি। তাতে তারা আশ্বস্ত হয়েছে। ম্যাচটি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।’
কিন্তু সোমবার জামায়াত ইসলামের ডাকা হরতাল এবং ১৮ দলের ডাকা অবরোধের কারনে মাঠে যায়নি উইন্ডিজ অনুর্ধ-১৯ দল। তাদের ক্রিকেট বোর্ড জানায়, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকিই নিতে চান না বলেই ক্রিকেটারদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বোর্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক পল স্লোয়ের দেয়া একটি প্রতিবেদন বিবেচনায় এনে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Discussion about this post