একেই বলে রুদ্ধশ্বাস জয়! খেলায় উত্তেজনা থাকল শেষ বল অব্দি। শেষ ওভারে চাই ২৬। তারপরও সমীকরণ ঠিকঠাক মিলিয়ে ফেলল রংপুর রাইডার্স। আরেকটি সরাসরি বলা যায় দলকে জেতাল নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং ঝড়!
ম্যাচের শেষ ওভারে, ৬ বলে তাণ্ডব দেখালন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। তার দাপটেই ৩ উইকেটে হেরে গেল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করতে রংপুরের শেষ ওভারে চাই ২৬ রান। তখন বল হাতে বরিশালের কাইল মেয়ার্স। ২০তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান। তারপর চলতেই থাকলে ঝড়। পরের দুই বলে দুটি চার। চতুর্থ বলে আবারো বিশাল ছক্কা। পরের বলে চার হাঁকিয়ে জয়ের খুব কাছে দলকে নিয়ে যান সোহান।
জিততে ১ বলে চাই ২ রান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেন রংপুরের অধিনায়ক। আর উত্তাল হয়ে গেল সিলেটের গ্যালারি। এমন কী টেলিভিশন সেটের সামনে বসা দর্শকরাও। মনে রাখার মতো এক ম্যাচ। যেখানে বরিশালের বিপক্ষে সিলেটের মাঠে রংপুর রাইডার্স জিতল ৩ উইকেটে।
৩ ছক্কা ও ৩ চারে সোহান তুললেন ৩০ রান। যা স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় শেষ ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ। সোহানের ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে জিতল দল।
এনিয়ে ৬ ম্যাচ খেলে অপরাজিত রংপুর রাইডার্স। টানা ছয় জয়ে চলতি বিপিএলের শীর্ষে।
আজ বৃহস্পতিবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে বরিশাল। ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রান কাইল মেয়ার্স। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের জয় তুলে নেয় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রংপুর!
তামিম ইকবাল এই ম্যাচেই পা রাখেন অনন্য উচ্চতায়। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৮০০০ রানের মাইলফলক টপকে যান তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তামিমের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪৩৮ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান। ৬০৯০ রান নিয়ে মাহমুদউল্লাহ তিন নম্বরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৯৭/৫ (তামিম ৪০, শান্ত ৪১, মেয়ার্স ৬১*, হৃদয় ২৩, মাহমুদউল্লাহ ২, ফাহিম ২০, জাহান্দাদ ১*; শেখ মেহেদি ৩-০-১৯-১, ইফতিখার ২-০-২৩-০, আকিফ ৪-০-১৬-১, নাহিদ ৪-০-৪৭-০, সাইফ ৪-০-৪২-১, কামরুল ৩-০-৪৭-২)।
রংপুর রাইডার্স: ১৩.২ ওভারে ১১৩/১ (তৌফিক ৩৮, হেলস ১, সাইফ ২২, ইফতিখার ৪৮, খুশদিল ৪৮, সোহান ৩২*, শেখ মেহেদি ০, সাইফ ০, কামরুল ০*; মেয়ার্স ২-০-৩৩-০, তানভির ৪-০-৩৩-১, আফ্রিদি ৪-০-৩০-১, জাহান্দাদ ৪-০-৪৮-২, ফাহিম ৪-০-৩০-১, রিশাদ ২-০-২৬-১)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নুরুল হাসান সোহান।
Discussion about this post