ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইতিহাস গড়ার হাতছানি নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবারের মতো হোয়াইট ওয়াশ করা হলো না। শুক্রবার ছুটির দিনে মিরপুরের শেরেবাংলায় হতাশ করা পারফরম্যান্স। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮৭ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে ৪৫ বল বাকি থাকতে ১৮৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ৯৭ রানে ম্যাচ জিতে বাংলাওয়াশ থেকে বাঁচল শ্রীলঙ্কা।
একইসঙ্গে এই জয়ে আইসিসির সুপার লিগে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। সিরিজ শেষে ৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীষেই আছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির চোখ রাঙানিতে শুরু হয় ম্যাচ। যেখানে ৭৪১ দিন পর ওয়ানডেতে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন করেন ফিফটি (৫১) ও শেষ দিকে লড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬৩ বলে ৫৩)। কিন্তু অন্যরা হতাশ করেন। দুশমন্ত চামিরা একাই তছনছ করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৯ ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে ৩৩ রানে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৩ রানের জয়ে পেয়ে যায় সিরিজ। প্রথমবারের মতো সিরিজে হারিয়ে ইতিহাস গড়া গড়লেও হোয়াইট ওয়াশের আরেক ইতিহাস গড়া হলো না।
হতাশ করলেন সাকিব আল হাসানও। দুই সিরিজ জাতীয় দলের বাইরে থেকে এবার দলে ফিরিছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বসেরা এই অলাউন্ডারকে ঠিক চেনা গেলো না। ব্যাট-বল দুটোতেই সাদামাটা পারফরম্যান্স। তবে একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ২৩৭ রান তুলে মুশফিকুর রহিম জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
সব মিলিয়ে দুশমন্থ চামিরার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সর্বনাশ বাংলাদেশের। ১৬ রানে ৫ উইকেট চামিরার। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ২০০৩ বিশ্বকাপে চামিন্দা ভাসের ২৫ রানে ৬ উইকেট এখনও সেরা। যিনি এই সফরে শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮৬/৬ (গুনাথিলাকা ৩৯, কুসল পেরেরা ১২০, নিসানকা ০, কুসল মেন্ডিস ২২, ধনাঞ্জয়া ৫৫*, ডিকভেলা ৭, হাসারাঙ্গা ৬, রমেশ ৮*; শরিফুল ৮-০-৫৬-১, মিরাজ ১০-০-৪৮-০, মোসাদ্দেক ৩-০-৩২-০ তাসকিন ৯-০-৪৬-৪, মুস্তাফিজ ১০-০-৪৭-০, সাকিব ১০-০-৪৮-০)।
বাংলাদেশ: ৪২.৩ ওভারে ১৮৯/১০ (তামিম ১৭, নাঈম ১, সাকিব ৪, মুশফিক ২৮, মোসাদ্দেক ৫১, মাহমুদউল্লাহ ৫৩, আফিফ ১৬, মিরাজ ০, তাসকিন ০, শরিফুল ৮, মুস্তাফিজ ০*; ধনাঞ্জয়া ৪-০-১৪-০, চামিরা ৯-১-১৬-৫, বিনুরা ৬.৩-০-৩৩-১, চামিকা ৬-০-৩৪-০, হাসারাঙ্গা ১০-০-৪৭-২, রমেশ ৭-০-৪০-২)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯৭ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ
ম্যাচসেরা: দুশমন্থ চামিরা
সিরিজসেরা: মুশফিকুর রহিম
Discussion about this post