ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এক যুগেও বেশি পেরিয়ে গেছে ক্যারিয়ার। এরমধ্যে তামিম ইকবাল খেলে ফেলেছেন দুইশর অধিক ওয়ানডে। তবে শুক্রবার প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন তিনি। ব্যাপারটি নিয়ে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেশ রোমাঞ্চিত। তবে ভেসে যাচ্ছেন না। তিনি চান শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা ভালো করে জিততে। এরপরই ড্যাশিং এ ওপেনার চোখ রাখতে চান সিরিজে।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। দিন-রাতের ম্যাচ বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে। সরাসরি দেখা যাবে মাছরাঙা টিভিতে।
চোটের কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নতুন পথচলা সিরিজে নেই মাশরাফি বিন মর্তুজা। যে কারণে তার জায়গা ওয়ানডে নেতৃত্বের ভার উঠেছে তামিমের কাঁধে। এদিকে বিশ্রামে থাকায় আগামিকাল সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকেও পাচ্ছে না টিম টাইগার্স। এছাড়া চোটের কারণে সফরে নেই সাইফউদ্দিনও।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডে একটি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখনকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম চোট পাওয়ায় তামিম ইকবাল। শুক্রবার টস করতে নামলে তিনি হবেন বাংলাদেশের চতুর্দশ ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে নিজের উপলক্ষ্যের রোমাঞ্চ তাকে স্পর্শ করছে সামান্যই, ‘আমি আসলে সেভাবে চিন্তা করছি না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো শুরুটা ভালো করা। নেতৃত্ব বা এসব তখনই ভালো লাগে যখন দল ভালো করে। কী হবে না হবে বা আমার অধিনায়কত্বের অভিষেক, এসব নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত নই। বরং কাজটা ঠিকঠাক করতে চাই। যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, পালন করতে চাই।’
বাংলাদেশের সেরা দলের বেশ কয়েকজন নেই। তারপরও সিরিজ জয়ই লক্ষ্য টাইগারদের। তবে তামিম এগোতে চান প্রতিটি ধাপ ধরে। প্রথম ম্যাচের শুরুটা ভালো করে ম্যাচ জিতে, এরপর তাকাতে চান সামনে, ‘শুরুটা ভালো করতে চাই। আমি সবসময়ই বলি যে স্টার্টিং লাইনের আগেই যদি ফিনিশিং লাইন দেখা শুরু করি, তাহলে বড় সমস্যা। আগে ব্যাট করি বা বল, আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতা। এরপর সেখান থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া। সিরিজ জিততে কে না চাইবে! সেজন্য ভালো শুরু আগে জরুরি।’
মূল লড়াইয়ের আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট খানিকটা টালমাতাল কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বরখাস্ত নিয়ে। এদিকে আগামিকালই বর্ণাঢ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন লাসিথ মালিঙ্গা। অনেক স্মরণীয় জয়ের নায়ককে নিয়ে আবেগের জোয়ারও আছে। সব মিলিয়ে লঙ্কানদের মনোযোগ নাড়িয়ে দেওয়ার উপকরণ আছে অনেক। তবে মাঠের বাইরের এসব মাঠের ভেতরে খুব বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন না তামিম, ‘বাইরের আলোচনা বাইরেই। তারা যখন মাঠে খেলতে নামবে, তখন এসব তাদের সঙ্গে যাবে না। মালিঙ্গার কথাই বলি, শেষ ম্যাচ বলেই কিন্তু ওর মাথায় থাকবে না যে যা ইচ্ছা, তাই করব। সে চেষ্টা করবে, তার দলও চেষ্টা করবে যে কোনোভাবে আমাদের হারাতে। আমরাও সেটিই চাইব। বাইরের আলোচনার প্রভাব খুব বেশি থাকবে বলে মনে হয় না। আমরাও ওসব ভাবছি না।’
Discussion about this post