ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
স্বপ্নের মতোই এক অ্যাশেজ শেষ করলেন তিনি। এ সিরিজের সাত ইনিংসে ১১০.৫৪ গড়ে ৭৭৪ রান তুলেন স্টিভেন স্মিথ। তার দল ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২-২ সমতায় ধরে রেখেছে অ্যাশেজ। আর নিজেও ধরে রাখলেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান। এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানই আইসিসি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখনো শীর্ষেই রয়েছেন প্যাট কামিন্স।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগিসো রাবাদার চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে কামিন্স। অ্যাশেজে এ ডানহাতি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৯ উইকেট।
বল টেম্পারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরে টেস্টে রান করেই যাচ্ছেন। তার পথ ধরে কিছু অর্জন যোগ হয়েছে তার নামের পাশে। সুনীল গাভাষ্কার ছুঁয়েছেন স্মিথ। ১৯৭১ সালে ৫ টেস্টের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৭৪ রান করেন গাভাস্কার। এবার অ্যাশেজ সিরিজে ৭৭৪ রান করে গাভাষ্কারের সেই কীর্তি স্পর্শ করেন স্মিথ।
টেস্ট সিরিজে এক ব্যাটসম্যানের সংগ্রহে ৭৭০ + রান হলো স্মিথের। ১৯৯৪ সালে এক সিরিজে ব্রায়ান লারা ৭৭৮ রান করেছিলেন। এবার সেই কৃীর্তির খুব কাছে পৌঁছেছেন স্মিথ। এ ডানহাতি সদ্যই শেষ হওয়া অ্যাশেজে তুলেন ৭৭৪ রান।
এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ৯ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করার রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হকের। এবার তাকে টপকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা ১০টি ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করেন স্মিথ। অ্যাসেজ সিরিজে পঞ্চম সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হলেন স্মিথ। অ্যাশেজ সিরিজের ইতিহাসে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চার নম্বরে তিনি। তার ওপরে আছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (৯৭৪ রান- ১৯৩০ অ্যাসেজ) ২), ওয়ালি হ্যামন্ড ( ৯০৫ রান, ১৯২৮-২৯ অ্যাশেজ) ও মার্ক টেলর (১৯৮৯ সালে ৮৩৯ রান করেন) ও স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (১৯৩৬-৩৭ সিরিজে ৮১০ রান)।
Discussion about this post