২৪ রানে শেষ ৫ উইকেট-তখন কীনা স্বপ্ন দেখাও বারণ। টপ অর্ডার চলে গেলে আর কীইবা থাকে। কিন্তু থাকলেন দু’জন মুশফিকুর রহিম-লিটন কুমার দাস। তাদের ব্যাটেই লেখা হল নতুন ইতিহাস। মঙ্গলবার ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এসে এই জুটি বিদায় নিলেন। তার আগে অনেক কীর্তিরই জন্ম দিলেন দু’জন।
লিটনকে শ্রীলঙ্কার বোলার কুসন রাজিথা ফেরাতেই শেষ হয় ২৭২ রানের জুটি। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন অব্দি ৫১৩ বল খেললেন লিটন-মুশফিক জুটি। এটি বল খেলার হিসেবে বাংলাদেশের তৃতীয় দীর্ঘতম জুটি। আর মাত্র একটি বল খেললেই তারা স্পর্শ করতেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিকে। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে এই দুই বাঁহাতির ২৪২ রানের জুটি এসেছিল ৫১৪ বলে।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বল বেশি বল খেলা জুটির রেকর্ডে মুশফিক রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে গলে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে ২৬৭ রানের জুটিতে বল লেগেছিল ৫১৮টি।
এবার লিটন দাস তার ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রান তুলে বিদায় নেন। মঙ্গলবার লাঞ্চ বিরতির আগে ৫১৩ বল স্থায়ী ২৭২ রানের রেকর্ড জুটি ভাঙে লিটন ফিরতেই। ২৪৬ বল খেলে ফেরেন লিটন। রানের হিসেবে মুশফিক-লিটনের জুটি টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে সাকিবের সঙ্গে মুশফিক গড়েন ৩৫৯ রানের জুটি, পঞ্চম উইকেটে।
দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১২ রানের জুটি তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় এই জুটি গড়েন তারা।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে মুশফিক-লিটন ষষ্ঠ উইকেটে প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরির জুটি গড়েন। এর আগে সর্বোচ জুটির রেকর্ড দখলে ছিল মুশফিক-আশরাফুলের। ২০১৪ সালে গল টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ১৯১ রানের জুটি গড়েন দু’জন।
লিটন ফিরেন ১৪১ রানে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরেন মুশফিক। ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশ তুলে ৩৬৫। ঢাকা টেস্টে একটা অপ্রিয় রেকর্ডও সঙ্গী হলো-সব মিলিয়ে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি ছয় ব্যাটসম্যান। টেস্টে এক ইনিংসে ষষ্ঠ ছয় ডাকের ঘটনা এটি। বাংলাদেশের দ্বিতীয়। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে অনন্য এক রেকর্ডও গড়ল বাংলাদেশ। ছয় শূন্যের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড় বাংলাদেশ দল। এর আগে ছয় ডাকের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান ছিল ১৫২।
Discussion about this post