দুঃস্বপ্নের মতো সকাল-তারপর স্বপ্নের মতো পুরোটা দিন। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে এখন জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। অথচ সকালে মনে হচ্ছিল ফলোঅনে পড়ে সর্বনাশ হতে যাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। কিন্তু লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে একটু একটু করে গড়লেন স্বপ্নের এক জুটি। গড়লেন ইতিহাস, নাম রেকর্ড বুকেও তোলপাড় হলো।
টেস্টের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরিতে রাঙালেন লিটন। হাফসেঞ্চুরি মিরাজের ব্যাটে। টেস্টের তৃতীয় দিনে ফলো-অনের শঙ্কায় থাকা বাংলাদেশ শেষ অব্দি আজ দিনশেষে ড্রাইভিং সিটে। প্রথম ইনিংসে তুলেছে ২৬২ রান। পাকিস্তান লিড পায় মাত্র ১২ রানের।
পাকিস্তান দিন শেষ করে ২য় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯ রান তুলে সাজঘরে ফেরে। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে আছে ২৭ রানে। মানে ম্যাচটা এখন টাইগারদের হাতেই!
১ম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটাকে টেনে তুললেন লিটন ও মিরাজ। চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিতে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৮ রান করেন লিটন। লিটনের আগের তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি আসে ২০২১ ও ২০২২ সালে ছয় মাসের মধ্যে। অবশেষে ফের তিন অঙ্কে পা রাখলেন তিনি।
বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার পর এবার মিরাজ ব্যাটিংয়েও বাজিমাত করলেন। ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর আটে নেমে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি।
মিরাজ-লিটন ১৬৫ জুটি পাল্টে দেয় দৃশ্যপট। ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দেড়শ রানের জুটি এটিই। একইভাবে হাসান মাহমুদ দশ নম্বরে নেমে দারুণ দৃঢ়তা দেখালেন। ৫১ বলে ১৩ রানে নটআউট।
টানা তিন ইনিংসে ফিফটি করা মিরাজ নিজের যোগ্যতাটা ফের দেখালেন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন খুররাম শাহজাদ।
সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে এগিয়ে বাংলাদেশ। এই টেস্ট ড্র করতে পারলেই সিরিজ জয়ের আনন্দে মাতবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭৪/১০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭৮.৪ ওভারে ২৬২/১০ (সাদমান ১০, জাকির ১, শান্ত ৪, মুমিনুল ১, মুশফিক ৩, সাকিব ২, লিটন ১৩৮, মিরাজ ৭৮, তাসকিন ১, হাসান ১৩*, নাহিদ ০; হামজা ১৬-১-৫০-২, শাহজাদ ২১-৩-৯০-৬, আলি ৭-২-২০-০, আবরার ৩১-৫-৮০-০, সালমান ৩.৪-০-১৩-২)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৩.৪ ওভারে ৯/২ (শাফিক ৩, সাইম ৬*, শাহজাদ ০; তাসকিন ২-০-৬-০, হাসান ১.৪-০-৩-২)
#রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট ৩য় দিন শেষে।
Discussion about this post