প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হলো না! প্রথম ইনিংসে ভরাডুবিই তো ডেকে এনেছিল সর্বনাশ। এবার যা হওয়ার তাই হয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে। ইনিংস ও ১১৭ রানে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে একটাই প্রাপ্তি লিটন দাসের সেঞ্চুরি।
হ্যাগলি ওভালে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ইনিংস মিলিয়েও ওই রান করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ১২৬ ও পরের ইনিংসে ২৭৮ রান করে অলআউট হলো টাইগারা। মঙ্গলবার টেস্টের তৃতীয় দিনেই হার দেখল মুমিনুল হকের দল।
এই হারের পরও অবশ্য সিরিজে ড্রয়ের তৃপ্তি পেলো বাংলাদেশ। এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতেছিল ৮ উইকেটে। ঐতিহাসিক সেই জয় সঙ্গী করেই দেশে ফিরবেন মুমিনুলরা।
মুমিনুলদের এমন হারের মঞ্চ তৈরি ছিল ১ম ইনিংসের পরই। ৫২১ রানের জবাবে নেমে ১২৬ করে অলআউট। তারপর তো ইনিংস পরাজয়ই অপেক্ষা করে। তাই হয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে বড় হার দেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তবে একজন হারেন নি এই টেস্টে। তিনি লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশের প্রাপ্তি তার ব্যাটে সেঞ্চুরি। ১১৪ বলে ১০২ রান করেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ২৫ টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল না এই ব্যাটসম্যানের। কিন্তু শেষ চার টেস্টের মধ্যে করে ফেললেন দুই সেঞ্চুরি।
এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৮ বল খেলে ২৪ রান করেন অভিষিক্ত নাঈম। মুমিনুল হক ফেরেন ৬৩ বলে ৩৭ রান করে। আগের ইনিংসের হাফসেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির আলি চৌধুরি (২) এবার ফেরেন দ্রুত। কিছুটা সময় লড়েন নুরুল হাসান সোহান। তবে হতাশ করে ৭ চারে ৩৬ তুলে আউট তিনি। তার আগে লিটনের সঙ্গে গড়েন ১০১ রানের জুটি।
এই টেস্ট দিয়েই বিদায় হলো রস টেলরের। ৮ বছর পর টেস্টে বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে পেলেন উইকেট। উইকেট শিকারেই বিদায় হলো এই কিউ কিংবদন্তির!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫২১/৬
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১২৬/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (ফলো-অনের পর): ৭৯.৩ ওভারে ২৭৮ (সাদমান ২১, নাঈম ২৪, শান্ত ২৯, মুমিনুল ৩৭, লিটন ১০২, ইয়াসির ২, সোহান ৩৬, মিরাজ ৩, তাসকিন ৯*, শরিফুল ০, ইবাদত ৪; সাউদি ১৭-৬-৫৪-১, বোল্ট ১৬-৬-৪২-০, জেমিসন ১৮-৪-৮২-৪, ওয়্যাগনার ২২-৭-৭৭-৩, মিচেল ৬-১-১৮-১, টেইলর ০.৩-০-০-১)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ১১৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজ ১-১ ড্র।
ম্যাচসেরা: টম ল্যাথাম।
সিরিজসেরা: ডেভন কনওয়ে।
Discussion about this post