ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনেই আফগানিস্তানকে কাবু করতে চেয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণেই দলে নেই একজনও স্পেশালিস্ট পেসার। কিন্তু এই কৌশলে প্রথম দিনটা ভাল কাটল না টাইগারদের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের স্পিন মঞ্চে চমক দেখালেন দুই আফগান ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন রহমত শাহ। শতরানের পথে আছেন আসগর আফগান।
সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৯৬ ওভার। আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ১ম ইনিংসে করেছে ২৭১ রান।
রেকর্ডের পাতায় নিজের নামটা আজীবনের জন্য লিখে ফেললেন রহমত শাহ। কারণ আফগানিস্তানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান যে তিনিই। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান হতে পারেন আসগর। ৮৮ রানে শুক্রবার মাঠে নামবেন তিনি।
অথচ চটজলদি প্রতিপক্ষকে অলআউট ছক কষেছিলেন সাকিব আল হাসান। ৭ জনই স্পিনারকে দিয়ে বল করিয়েও অবশ্য কাজ হলো না। প্রতিপক্ষকে অলআউট করা যায়নি। তবে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন দুই উইকেট। এদিনই বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ড। দুটি উইকেট পেয়েছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। আরেকটি উইকেট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
এদিন সকালে টস করতে নেমেই রশিদ খান গড়ে ফেলেন ইতিহাস। ২০ বছর ৩৫০ দিন বয়সে নেতৃত্ব দিয়ে হলেন টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক। আবার টসেও জেতেন তিনি। তার সম্মান বাঁচালেন রহমত শাহ। ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান করেন সেঞ্চুরি। ইতিহাস গড়ে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার স্বপ্ন ছিল আমার। আগের টেস্টে ৯৮ রানে আউট হওয়ার পর তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আজকে আবার সুযোগ পেয়েছি, এবার হাতছাড়া করিনি।’
রহমত আরও বলেন, ‘আমার জন্য এটি দারুণ গর্বের মুহূর্ত। দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট ফিফটির রেকর্ডও আমার। এখন দেশের প্রথম সেঞ্চুরিও করলাম আমিই!’
১৮৬ বলে শতরান করেন তিনি। ১০২ রান করে নাঈম হাসানের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট তিনি। তবে কাজের কাজটা ঠিকই করে গেলেন রহমত শাহ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান: ৯৬ ওভারে ২৭১/৫ (ইব্রাহিম ২১, ইহসানউল্লাহ ৯, রহমত ১০২, শহিদি ১৪, আসগর ৮৮*, নবি ০, আফসার ৩৫*; তাইজুল ৩১-৪-৭৩-২, সাকিব ১৭-১-৫০-০, মিরাজ ২২-৪-৫৯-০, নাঈম ১৩-০-৪৩-২, মাহমুদউল্লাহ ৪-০-৯-১, সৌম্য ৪-০-২৬-০, মুমিনুল ৪-০-৯-০, মোসাদ্দেক ১-০-১-০)।
Discussion about this post