তাকে দুর্ভাগা অধিনায়কই বলা যায়। টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই সেরা দলটা কিছুতেই পাচ্ছেন না মুমিনুল হক। এখন অব্দি তার নেতৃত্বে যতোগুলো টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ- সেরা তারকাদের একসঙ্গে পাননি। ফের আরেক মিশন। শুক্রবার শুরু পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। যেখানে নিয়মিত চার ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বন্দরনগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু প্রথম দিনের খেলা। তার অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে, চোটের কারণে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে নেই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদ। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গুডবাই বলেছেন একদিন আগেই। যিনি সবশেষ টেস্টে করেছিলেন ১৫০ রান।
বৃহস্পতিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলছিলেন, ‘টেস্টে ম্যাচে সব সময় অভিজ্ঞদের দরকার বেশি হয়। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, তাসকিন-অভিজ্ঞরা না থাকলে একজন তরুণ অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজটা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের চারজন ক্রিকেটার নেই। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমার আর মুশফিক ভাইয়ের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তবে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ক্রিকেট কোন দিকে যাচ্ছে, এই সিরিজ ও পরের সিরিজে সেটা দেখতে পাবেন।’
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে হতাশই মনে হলো টেস্ট অধিনায়ককে। তাছাড়া দলও ছন্দে নেই। হতাশ করা টি-টুয়েন্টি বিশ্বকা মিশন শেষে দেশের মাঠেও সঙ্গী হয়েছে হার। টানা ৩ ম্যাচে পরাজয়। মুমিনুল বলেন, ‘বাংলাদেশ দল কিন্তু এমন না। এরকম আরও হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বের হয়েছি। মানসিকভাবে সবাই এই সময়ে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। কেননা আমরা বাইরের কথা অনেক বেশি নিয়ে নিই। আমি চেষ্টা করি বাইরের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজে ফোকাস করা।’
একইসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘নিজেদের ব্যাক করার জন্য নিজেদের নিয়েই কাজ করা উচিত। এখন সবাই নিজের কাজের ওপর ফোকাস করছে। বাইরের মানুষের মুখ আপনি বন্ধ করতে পারবেন না। আমার মনে হয় আপনার নিজের কানটা বন্ধ করতে হবে।’
সামনেও পুরো দলটা পাবেন না মুমিনুল। পাকিস্তান সিরিজ শেষের পর বাংলাদেশ দল যাবে নিউজিল্যান্ড সফরে। যেখান থেকেই আগেই ছুটি নিয়ে রেখেছেন সাকিব। তামিম ইকবালও চোটে। তার খেলাও অনিশ্চিত।
এদিকে দুজনকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটির জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই ক্রিকেটার হচ্ছেন শহিদুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। দুজনই পেসার।
Discussion about this post