করোনার সংক্রমণ কমছেই না। এজন্য যাপিত জীবনের সবকিছুই পাল্টে যাচ্ছে। যার মাশুল সবচেয়ে বেশি দিচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা। খেলা চালিয়ে যেতে গিয়ে থাকতে হচ্ছে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। আর সেই সুরক্ষা থেকে বেরিয়ে গেলেই বিপদ। যেমনটা হয়েচে লিটন দাসের।
এমনিতেই চোটে ছিলেন জাতীয় দলের এই তারকা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে নামতে পারেন নি মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুর কয়েকটি ম্যাচে খেলা নিয়েও শঙ্কা ছিল তার। এরমধ্যে একদিন আগেই জানা যায়, পারিবারিক কারণে অজিদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারছেন না লিটন।
পারিবারিক কারণে দলের সঙ্গে ২৮ তারিখ না ফিরে ২৬ তারিখ রাতে ঢাকার উদ্দেশে জিম্বাবুয়ে ছেড়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে চলে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে তার খেলার সুযোগ নেই লিটনের।
একটি সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে ভুগছেন লিটনের শ্বশুর। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। রক্তের প্ল্যাটিলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে শ্বশুরের পাশে থাকতে দেশে ফিরে এসেছেন লিটন।
জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করে দলের বাকি সদস্যরা ২৯ জুলাই ঢাকায় আসবেন। এসেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য উঠবেন রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে।
১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনের কারণে অজিদের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। বাবা মারা যাওয়ায় টি-টুয়েন্টি স্কোয়াডের বাইরে চলে এসেছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। লিটন দাসও নেই। আগেই চোটের কারণে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজুর রহমানেরও খেলা অনিশ্চিত। তিনি ইনজুরি আক্রান্ত। সব মিলিয়ে বিপাকেই আছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post