২৭১ রানের পুঁজি নিয়েও লড়তে পারল না বাংলাদেশ। অথচ ঠিকঠাক মতো ক্যচেগুলো ধরতে পারলে ঠিকই হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারতো। কিন্তু একের পর এক ক্যাচ ড্রপে সর্বনাশ। মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ল টাইগাররা।
ক্যাচ মিসের মহড়া ও রান আউটের সুযোগ হাতছাড়ারেতই সর্বনাশ। ৫ উইকেটে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজটাও জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪ সুযোগ পেয়ে টম ল্যাথাম করেন সেঞ্চুরি। রান আউট থেকে বেঁচে যাওয়া কনওয়ে হাফ সেঞ্চুরি।
ম্যাচশেষে তাইতো হতাশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বলছিলেন, ‘দেখুন, আমাদের ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। বোলাররা সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এরকম পরিস্থিতিতে আসলে ম্যাচ জেতা কঠিন। যখন সুযোগ আসে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, সেগুলো যেন আপনার পক্ষে আসে। শতভাগ সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। এটা খুব হতাশার।’
ম্যাচে তামিম সর্বোচ্চ ৭৮ ও মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান। এরপর বোলাররাও দারুণ করছিলেন। টম ল্যাথাম প্রাণ পেলেন। প্রথমে ক্যাচ ছাড়লেন মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর বোলার মেহেদী হাসান। জীবন পেয়ে তুলে নিলেন শতরান। দলকে জয় এনে দিয়ে তবেই ফিরেন অধিনায়ক।
প্রথম ম্যাচের থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে উন্নতি হয়েছে। তাতে খুশি তামিম। জানাচ্ছিলেন, ‘এ ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। উন্নতি স্পষ্ট। কিন্তু আমরা এখানে উন্নতি করতে আসিনি। জিততে এসেছি। ক্যাচ মিস হয়ই। ক্রিকেট খেলায় ক্যাচ মিস হয়ই। তবে কখনও কখনও এটা খুব কষ্টদায়ক। আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। ওই দুটি সুযোগ নিতে পারলে খেলা জমে যেত। তবে অভিযোগ নেই। কেউ ইচ্ছা করে ক্যাচ ছাড়ে না। সবার ক্ষেত্রেই এটা হয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে পারি।’
ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে খুশি তামিম। বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা আজ ভালো করেছে। হ্যাঁ, রান তোলায় ধীর গতি ছিল। কিন্তু আমাদের পুঁজি সম্মানজনক ছিল। বোলারার শুরুটা ভালো করেছিল। দ্রুত উইকেট নিয়েছিলাম আমরা। এরপর আমরা সুযোগ তৈরি করেছি কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ এখন হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায়। শুক্রবার সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে কিউইদের সঙ্গে লড়বে টাইগাররা।
Discussion about this post