বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কিপারের জায়গা নিয়ে লড়াইটা জমে উঠেছে। নুরুল হাসান সোহান বনাম মুশফিকুর রহিম। আগের সিরিজে ছিলেন না মুশফিক। তিনি ফিরতেই পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সিরিজে কে কিপিং করবেন তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন।
সেই উত্তর মিলেছে। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেওয়া হচ্ছে দুই কিপারকে। প্রথম দুই টি-টুয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পাচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান, পরের দুই ম্যাচে থাকবেন মুশফিকুর রহিম। চার ম্যাচে দুজনের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত করা হবে শেষ ম্যাচের কিপার।
কিছুদিন আগেও অবশ্য এই চিত্র কল্পনা করা ছিল কঠিন। সাদা পোশাকে বেশ কিছুদিন ধরেই আর কিপিং করছেন না মুশফিক। তবে রঙিন পোশাকে উইকেটের পেছনে ছিল তারই রাজত্ব।
জিম্বাবুয়ে সফরে ও দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মুশফিক ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেন সোহান। কিপিংয়ে দারুণ নজর কাড়েন। উইকেটের পেছনে প্রাণবন্ত উপস্থিতি আর টেকনিক্যাল দক্ষতায় আলাদা করে আলোচনায় আসেন।
এবার মুশফিক ফেরাতে ভিন্ন ভাবনা টিম ম্যানেজম্যান্টের। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সোমবার বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘সোহান নিশ্চিতভাবেই কিপিং করবে প্রথম দুই ম্যাচে। পরের দুই ম্যাচ মুশফিক। দুজনকেই দুটি করে ম্যাচে দেখা হবে। তারপর পঞ্চম ম্যাচে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই অপশনগুলো কাভার করা গুরুত্বপূর্ণ। সামনে তাকিয়ে, এটিই পরিকল্পনা। সোহান শুরুতে কিপিং করবে।’
মুশফিক তার ৮৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাত্র চারটি ম্যাচেই কিপিং করেননি। ২০১৬ সালে তখন কিপার ছিলেন সোহান। আর সোহান তার ২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের সবকটিতে সোহান কিপিং করেছেন।
দলে এখন আছেন আরেক কিপার লিটন দাস। তিনি অবশ্য দলে থাকলে ব্যাটসম্যান হিসেবেই থাকবেন।
Discussion about this post