ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতো খেলে যাচ্ছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আরেকটু সরাসরি বলা যায় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম আছেন সেই ছন্দে। আগের ম্যাচে তার ব্যাটে ছিল অপরাজিত ৭৫ রান। এবার তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। সোমবার তিন অঙ্কের দেখা পেলেন নাঈম ইসলামও। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে এ দুই জন ২২৫ রান যোগ করে প্রিমিয়ার লিগে গড়েন নতুন রেকর্ড। তারই পথ ধরে ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৬৮ রানে হারাল রূপগঞ্জের দলটি।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে যেন নিজের সেরাটা দিয়ে লড়লেন মুশফিক। তার ব্যাটে ১৩৪ বলে ১৩৪ রান। নাঈম ইসলাম তুলেন ১১৮ বলে ১০৩ রান। তাদের শতরানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৫ রান করে রূপগঞ্জ। জবাব দিতে নেমে ৪৬.২ ওভারে ২৩৭ রানে থামে শেখ জামাল।
এর আগে টস জিতে ব্যটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রূপগঞ্জ। মাত্র ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় দল। এরপরই তৃতীয় উইকেটে মুশফিক-নাঈম গড়েন রেকর্ড জুটি। এই দুই ব্যাটসম্যান করেন ২২৫ রান। এটি লিস্ট ‘এ’ স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়ে দ্বিতীয়সেরা। মুশফিক ১৪ চার আর ১ ছক্কায় শেষ পর্যন্ত তুলেন ১৩৪ রান। ৭ চার ও ১ ছয়ে নাঈম করেন ১০৩ রান।
জবাব দিতে নেমে রূপগঞ্জের বোলিং তোপে পড়ে শেখ জামাল। দলীয় ১০ রানের সময় মাহমুদ উল হাসান সাজঘরে ফেরান ইমরুল কায়েসকে। তারপর মোহাম্মদ শরিফ. মোশাররফ হোসেনদের বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারায় শেখ জামাল। তারই পথ ধরে ৬৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরা মুশফিক।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটি রূপগঞ্জের টানা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর হার দেখলো শেখ জামাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ৩০৫/৫ (নাঈম ১০৩, মুশফিক ১৩৪, মাশরাফি ১৭, সাকসিনা ২৩*, শরীফ ১৫*; শাহাদাত ২/৫২, রাজ্জাক ২/৬৩, ইলিয়াস ১/৬৩)
শেখ জামাল: ৪৬.২ ওভারে ২৩৭/১০( মাহবুবুল ৩৬, ফজল ৩৩, জিয়াউর ৪২, গাজী ২৪; শরিফ ২/৩১, মাশরাফি ১/৫০, মোশাররফ ২/৫৬, আসিফ ২/৪০, নাঈম ২/২১)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহীম
Discussion about this post