চাপের মুখে আরো একবার কথা বলল মুমিনুল হকের ব্যাট। মনে হচ্ছিল পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে শনিবার শতরান পেয়ে যাবেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান। দেখে-শুনেই খেলে যাচ্ছিলেন লিটল জিনিয়াস। ব্যক্তিগত ৬৮ রানের সময় প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পেরিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে অনন্য এক মাইলফলক। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সেখানে টেস্টে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল শাহরিয়ার নাফীসের। ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে শাহরিয়ার করেন ৭১ রান।
কিন্তু সেই রেকর্ড গড়ে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেন নি তিনি। স্পিনার কেশব মাহারাজের বলে সাজঘরে আউট। ইনিংসের ৬৪তম ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট লেগে মার্করামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৭৭ রানে ফিরেন মুমিনুল। ১৫০ বলে এই রান করেন তিনি।
এর আগে ২০০৮ সালে সেঞ্চুরিয়নের একই টেস্ট ইনিংসে জুনায়েদ সিদ্দিক করেছিলেন ৬৭ রান। মুশফিকুর রহীমের ব্যাট থেকে আসে ৬৫। ২০০২ সালে পচেফস্ট্রমে হান্নান সরকারের ব্যাট থেকেও এসেছিল ৬৫ রান।
মুমিনুল ফিরে গেলে আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্টের তৃতীয় দিনে ১ম ইনিংসে ৮৯.১ ওভারে ৩২০ রান তুলে অলআউট। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে ৪৯৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। ফলোঅন এড়ালেও প্রোটিয়াদের চেয়ে এখনো ১৭৬ রান পিছিয়ে আছে টাইগাররা। সংগত হিসেবেই চাপে আছেন মুশফিকুর রহীমরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৯.১ ওভারে ৩২০ (আগের দিন ১২৭/৩) (মুমিনুল ৭৭, তামিম ৩৯, মাহমুদউল্লাহ ৬৬, সাব্বির ৩০, মিরাজ ৮, তাসকিন ১, শফিউল ২, মুস্তাফিজ ১০*; মর্কেল ২/৫১, রাবাদা ২/৮৪, মহারাজ ৩/৯২, অলিভিয়ের ১/৫২, ফেলুকওয়ায়ো ১/১৮)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৯৬/৩ (ডি.)
Discussion about this post