ওয়ানডে দলের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্বে যাত্রা শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরের মধ্য দিয়ে। তবে এই সূচনা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের জন্য। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।
প্রথম দুটি ম্যাচে ১–১ সমতা থাকায় সিরিজের শেষ ওয়ানডে হয়ে উঠেছিল অঘোষিত ফাইনাল। পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৮৫ রানের জবাবে মাত্র ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফল, ৯৯ রানের বড় পরাজয়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের কিছু ভুল হয়েছে। শুরুতে ও মাঝের ওভারগুলোতে জুটি হয়নি। আমি মনে করি, এখানেই সমস্যা হয়েছে।’
তার মতে, ম্যাচের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর উইকেটও দলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। দুনিথ ভেল্লালাগের বলে ২৫ বলে ২৮ রান করে আউট হন মিরাজ, ‘আমি ও হৃদয় জয়ের চিন্তা করছিলাম। পরিকল্পনা ছিল শেষ ১০ ওভারে চেষ্টা করব। কিন্তু আমি ভুল শট খেলেছি। ঠিকঠাক খেললে ছক্কাও হতে পারত।’
তৃতীয় ওয়ানডেতে ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১০২ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোর। সেখান থেকে শেষ ৭ উইকেট পড়ে মাত্র ৮১ রানে। এটাই ছিল পুরো সিরিজজুড়ে চিত্রের পুনরাবৃত্তি। তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের পূর্ণ ৫০ ওভার খেলতে পারেনি। প্রথম ওয়ানডে: ৩৫.৫ ওভার, দ্বিতীয় ওয়ানডে: ৪৫.৫ ওভার ও তৃতীয় ওয়ানডে: ৩৯.৪ ওভার!
যদিও মিরাজ দলকে ‘তরুণ’ বলছেন, বাস্তবতা হলো, এই সিরিজে পারভেজ হোসেন ও তানভীর ইসলাম ছাড়া সবাই অভিজ্ঞ। তাসকিন, মুস্তাফিজ, লিটন, মিরাজ-সবাই খেলছেন দীর্ঘদিন ধরে। দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল তাওহিদ হৃদয়ের ৫১। তিনিই গড়েছেন দুটি উল্লেখযোগ্য জুটি-৪২ ও ৪৩ রানের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার ১২৪ রানের জুটির বিপরীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি মাত্র ৪৩। এতে করে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা ধূসরই ছিল। মিরাজ বলেন, ‘আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। আমি নিজেও আরও ভালো করতে পারতাম।’
Discussion about this post