ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এরইমধ্যে পঞ্চপান্ডবের তকমা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। সেটাই তো স্বাভাবিক। কেননা তারা একাধিকবার খেলেছেন বিশ্বকাপ। অন্যদিকে সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেন ও সাব্বির রহমানরা একবার মাতিয়েছেন বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টে। যখন একটা দলে এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যাটা বেশি থাকে তখন সে দলকে নিয়ে যেকোন বড় মঞ্চে ভাল কিছু হতে পারেন অধিনায়ক। ঠিক তেমনটাই এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সতীর্থদের কাছ থেকে আশা করছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশের রয়েছে আয়ারল্যান্ড সফর। যেখানে একটি ত্রি-দেশিয় টুর্নামেন্টে খেলবে টাইগাররা। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে নামার আগে কতটা উপযোগী হবে এ সিরিজ? জবাবটাও অবশ্য সোমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন মাশরাফি, ‘এই সিরিজ কতটা সাহায্য করবে আমাদের সেটা স্পষ্ট করে বলতে পারছি না। গতবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডেই সিরিজ খেলে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর পেয়েছি ভিন্ন উইকেট। একদমই ভিন্ন উইকেট ছিল। আশা করবো যে উইকেট প্রায় একই থাকবে। কারণ, আমরা তো এই সিরিজটাকেই প্রস্তুতি হিসেবে নিয়েছি।’
এবারের বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারাই গত কয়েক বছর খেলে আসছেন একসঙ্গে। যে কারণে সবার সঙ্গে সবার বোঝাপড়াটা দারুণ। যা ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কাজে দেবে বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আমি মনে করি, এই দলটা গত কয়েক বছর ধরে একসাথে খেলছে। ফর্ম ইন-আউট থাকবে। তার মানে এই না যে, তাকে ছোট করে দেখা। আমি এটা বলবো না যে, সৌম্য ডিপিএলে শেষ দুই ম্যাচে ভালো দুইটা ইনিংস খেলেছে। তার মানে সে পুরোপুরি ফর্মে ফিরেছে আমি এটা বলবো না। ও গত বিশ্বকাপেও অসাধারণ খেলেছিল। তখন তো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। এবারতো সেটাও আছে। মাঝে চার বছর অনেক খেলেছে। আমি আশা করি, এবারও সে ভালো খেলবে।’
তারপরও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা কয়েকজনকে নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। যেমন লিটন দাস, সৌম্য সরকার বা সাব্বির রহমান। অধিনায়ক আস্থা রেখেছেন তাদের উপরও, ‘তামিম আমাদের দলের সেরা ব্যাটসম্যান। ও টিকে গেলে তিনশ রানও পার হয়ে যায়। ও যদি ৪০ ওভার খেলতে পারে এরপর বাকি ১০ ওভারে দ্রুত রান উঠাতে হয়। যেটা অন্য দলের খেলোয়াড়রা সহজেই করে। আমাদেরও এমন ব্যাটসম্যান আছে। লিটন, সাব্বির এদের বলেই দেয়া হয় ফ্রি খেলতে। তাদের সেই সামর্থ্যও আছে। এর মানে এই না যে, ফ্রি খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। অবশ্যই তাদেরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। একটা দল খেলতে গেলে কিছু ভুল হতেই পারে। তবে দল হিসেবে খেলতে গেলে এসব ভুলে নিজেদের সেরাটা দিতে হয়। আমাদের এটুকু মাথায় রেখে খেলতে পারলেই হবে। আমার বিশ্বাস, যারা আছে তারা সেরাটাই দিবে।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য সেমিফাইনাল। তবে সেই কাজটাও সহজ হবে না বলেই মনে করেন মাশরাফি, ‘আগে তো গ্রুপ ছিল, দু-একটি ম্যাচ জিতেই হয়তো দ্বিতীয় ধাপে চলে যাওয়া যেতো। গত বিশ্বকাপে এমন হয়েছিল, আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তবে এবার ফরমেট ভিন্ন। একটা দুটি ম্যাচ জিতলে হবে না। সবাই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকবে। সেমিতে যাওয়া অসম্ভব নয় তবে কঠিন।’
আগামী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। তার আগে আগামী ৫ মে আয়ারল্যান্ডে ত্রি-দেশিয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোকাবেলা করবে মাশরাফির দল।
Discussion about this post