ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
২০১৯ বিশ্বকাপের পর মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অবসর নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজন করে তাকে বিদায় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। যা মোটেও পছন্দ হয়নি মাশরাফির। এতোদিন পর ব্যাপারটি নিজেই জানিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মাশরাফি বলেছেন,‘সত্যি বলতে আমাকে বিদায় জানাতে তাড়াহুড়া করেছিল বিসিবি, যা আমার কষ্ট বাড়িয়েছিল। প্রথমত এমন একটি ম্যাচ আয়োজন করার চেষ্টা করেছিল যে টা কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচ ছিল না। দ্বিতীয়ত, বিসিবি আমার বিদায়ী ম্যাচের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। একটি নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা হতে পরে না, যেখানে আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত বেতন পাচ্ছে না।’
গেল বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের পর লর্ডসে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল মাশরাফির। কিন্তু কোনও এক কারণে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি, ‘আমি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু লর্ডসে আর অবসর নিতে পারিনি। কেন পারিনি সেই বিষয়ে বিস্তারিত যেতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।’
ঘরের মাঠে গত ৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অধিনায়কত্বের অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন মাশরাফি। নামের পাশে পঞ্চাশ জয় নিয়ে সিংহাসন থেকেই অধিনায়কত্বের চেয়ার ছেড়েছেন। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও আপাতত খেলা ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তার, ‘আমার মৌলিক পরিকল্পনাই হচ্ছে ক্রিকেট খেলা। কারো পরিকল্পনায় থাকার জন্য ক্রিকেট নয়। আসলে কে কি পরিকল্পনা করছে তা বোঝার বা জানার বিষয় নেই এখানে। এটা বলে রাখা ভালো, ২০১৯ বিশ্বকাপের আগের তিন সিরিজে আমি ছিলাম দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। টুর্নামেন্টটি যদিও আমার ধারণার চেয়ে খারাপ ছিল। তবে এটাই স্বাভাবিক যে প্রত্যেকে আমাকে একটা টুর্নামেন্টের জন্য বিচার করবে। আমিও এর সাথে দ্বিমত পোষণ করব না।’
এখন পর্যন্ত ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট নিয়ে মাশরাফি এখনও দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ৩৬ বছর বয়সেও এ পেসার বল হাতে ভালো করার তাড়না অনুভব করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন,‘শেষ হওয়ার মতো কোনও বিষয় নেই। আপনি যদি সবার জন্য একভাবে চিন্তা করতে না পারেন তাহলে আমি আদর্শ পরিকল্পনাকারী নন। আমি যদি ভালো করি অবশ্যই আমাকে সুযোগ দিতে হবে। আমি ঠিক জানি না করোনার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ হবে কি না। আমাদের লক্ষ্য ঢাকা লিগ দিয়ে ফেরা। এটাই আমার সামনে আছে। আমি বিসিবির পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত নই। আমার সামনে যে সুযোগ আসবে আমি সেটাই লুফে নিবো।’
Discussion about this post