ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাঁচা-মরার ম্যাচ বলে কথা! উত্তেজনা তো থাকবেই। কিন্তু মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার এভাবে মেজাজ হারাবেন কল্পনা করা যায়নি। হতাশার সঙ্গে বিরক্তি,তাতে বিস্ফোরণ।বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ম্যাচে এমনই ঘটনায় আলোচনায় মুশফিক। সোমবার বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক দুবার মেজাজ হারালেন!
টুর্নামেন্টের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের সঙ্গে ম্যাচ ছিল ঢাকার। সেখানেই বরিশালের রান তাড়ায় সতীর্থ নাসুম আহমেদের দুইবার তেড়ে যান মুশফিক।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ১৩তম ওভারে। নাসুমের বল শর্ট মিড উইকেটে পাঠিয়ে দ্রুত একটি রান নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। বোলার ও কিপার দুজনই ছুটে যাচ্ছিলেন বল ধরতে। মুশফিক আগে পৌঁছে বল নিয়ে উইকেট না ভেঙ্গে নাসুমের দিকে ছুঁড়ে মারতে যান। বোলিং প্রান্ত ছেড়ে আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুশফিক নাসুমের দিকে বল হাতে তেড়ে যান মুশি!
পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামের বল আকাশে পাঠিয়ে দেন আফিফ হোসেন। মুশফিক শর্ট লেগের দিকে ছুটে গিয়ে গ্লাভসে জমান। এ সময় শর্ট ফাইন লেগে ফিল্ডার ছিলেন নাসুম। ক্যাচ নিতে ছুটে আসলেও মুশফিককেই সুযোগ দেন। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায় মুশফিকের জন্য বাধার সৃষ্টি করেননি। তারপরও ক্যাচ নিয়েই নাসুমের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন মুশফিক! পরিস্থিতি বুঝে নাসুম সরে যান।
যদিও এরপরই নাসুম হাত বাড়িয়ে মুশফিককে ধরে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখা যায়। মুশফিকও তখন স্বাভাবিক হওয়ার আচরণ করেন।
এছাড়াও বোলারদের বাজে ডেলিভারিতে আর ফিল্ডারদের ভুলের পর বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন মুশফিক। এমন ঘটনা অবশ্য তার জন্য অন্যরকমই। সংগতভাবেই সোমবার মিরপুরের শেরেবাংলায় ম্যাচ শেষেও আলোচনায় থাকল এই প্রসঙ্গ।
সতীর্থের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হওয়ার বিষয়টি অবশ্য এড়িয়ে গেলেন মুশফিক। ম্যাচ শেষে এই প্রসঙ্গ উঠতেই এক লাইনে বলেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে।’
Discussion about this post