এজবাস্টনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন একজন আম্পায়ার-বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ম্যাচের পাঁচদিন জুড়ে তার দায়িত্বশীল ও নির্ভুল আম্পায়ারিং নজর কেড়েছে ক্রিকেটবিশ্বের। আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি এই আম্পায়ার প্রমাণ করেছেন, তিনি কেবল দেশের গর্বই নন, বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য এক মুখ।
রোববার ভারত ৩৩৬ রানের বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ায় সিরিজে সমতা ফেরায়। তবে ম্যাচের চেয়েও আলোচনায় আসে মাঠের আম্পায়ারিং, বিশেষ করে সৈকতের দেওয়া একের পর এক সঠিক সিদ্ধান্ত। তার দেওয়া মোট ১০টি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা হলেও মাত্র ২টি রিভিউ বদলে যায়। অর্থাৎ ৮টি সিদ্ধান্তই নিখুঁত ছিল-যা একটি টেস্ট ম্যাচে অসাধারণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশেষ করে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ছিল উল্লেখযোগ্য। ওয়াশিংটন সুন্দরের করা ডেলিভারিতে বল ব্যাটে নাকি প্যাডে আগে লেগেছে—তা বোঝা ছিল কঠিন। কিন্তু সৈকতের আত্মবিশ্বাসী সিদ্ধান্ত রিভিউয়ে সঠিক প্রমাণিত হয়, যা তার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার প্রমাণ দেয়।
ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা করেন ভারতীয় বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। তিনি বলেন, ‘ক্রিস গ্যাফানির কাছ থেকে মানসম্মত আম্পায়ারিং আশা করাই যায়, কিন্তু সৈকত ছিলেন সত্যিই অসাধারণ।’
এজবাস্টনে আম্পায়ারিংয়ের মাধ্যমে যে মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সৈকত, তা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করলেও এই ম্যাচে তিনি নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন।
আগামী ১০ জুলাই লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টেও অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে সৈকতকে।
Discussion about this post