সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনেও বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে দেখা গেছে সেই পুরোনো দুর্বলতা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ টপ অর্ডার, রান নেই ওপেনারদের ব্যাটে। হতাশ করেছেন সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। এই ব্যাটিং ধ্বসের মাঝেও কিছুটা আশার আলো জুগিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় ইনিংসে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জয়। ব্যাট হাতে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মুমিনুল, তবে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে চলেছেন অধিনায়ক শান্ত, অপরাজিত ৬০ রানে। জাকের আলি অনিক ২১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন। আলো স্বল্পতায় ৫৭ ওভারে ১৯৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস, ৬ উইকেট হাতে রেখে লিড এখন ১১২ রানের।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুল হক দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে বলেন, ব্যাটারদের ধারাবাহিকতা নেই, তবে ফিল্ডিং ও বোলিংয়ের দিক থেকে দল অনেক উন্নতি করেছে। উইকেট নিয়ে প্রশ্নে মুমিনুলের মত, ‘যতদিন উইকেট পরিবর্তন হবে না, ততদিন মান বাড়বে না।’
তিনি মনে করেন, পেসারদের উপযোগী উইকেট তৈরি হলে মান বাড়বে এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ব্যাটিংয়ে উন্নতি আনলেও, তা বোলারদের সুযোগ সংকুচিত করতে পারে। মুশফিকুর রহিমের ব্যর্থতা নিয়েও মুখ খোলেন মুমিনুল। দুই ইনিংসে ৮ রান করা মুশফিককে নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। বরং মনে করেন, ‘উনি জানেন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়।’
Discussion about this post