সকাল থেকেই মিরপুরের আকাশ ছিল অন্ধকার। মনে হচ্ছিল বৃষ্টি বুঝি কেড়ে নেবে ম্যাচ। কিন্তু একটু বাদেই দেখা মিলল আলোর। মাঠে গড়ালো খেলা। যেখানে হাসিমুখ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ ওভার কমে নেমে আসে ১২ ওভারে। যেখানে কম পুঁজি নিয়েই উড়ল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেলো তারা।
যদিও বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভারে ৮১ রান তোলে রূপগঞ্জ। প্রিমিয়ার লিগের টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ৭২ বলে ৮২ রানের লক্ষ্য। কঠিন না হলেও দাপট দেখালেন লিজেন্ডসের বোলাররা। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ১২ ওভারের ইনিংস থামে ৬৭ রানে। ১৪ রানে ম্যাচ জিতে রূপগঞ্জ।
এবারও ফেভারিট হয়েই মাঠে আছে লিজেন্ডসরা। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত মৌসুমের রানার আপ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। গত আসরে শিরোপার খুব কাছে গিয়ে হাত ছাড়া হয় ট্রফি। এবার অবশ্য শুরু থেকে ঠিক চেনা যাচ্ছিল না দলের ক্রিকেটারদের। সাব্বির রহমান, সানজামুল ইসলাম, সোহাগ গাজী, মুক্তার আলী তেমন কিছু করতে পারছিলেন না। এ কারণে টুর্নামেন্টে টানা ৩ ম্যাচ হার। অবশেষে মঙ্গলবার বোলারদের নৈপুণ্যে ধরা দিলে চলতি লিগে প্রথম জয়।
সাব্বির রহমান আগের তিন ম্যাচে করেন ২৩, ২৩ ও ১৮ রান। মঙ্গলবার ফিরেন ১৬ রান। ১৭ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার সানজামুল ইসলাম। মেহেদী মারুফ (১), সোহাগ গাজী (১৩) দ্রুত ফিরলে কিছুটা লড়াই করেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। তার ব্যাটে অপরাজিত ১৮ রান। তার পথ ধরে দল ১২ ওভারে ৮১ রান তুলে রূপগঞ্জ।
শাইনপুকুরের হয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার সুমন খান। রবিউল হক নেন ২ উইকেট।
জবাবে নেমে শাইনপুকুরের ব্যাটসম্যানদের স্বস্তি দেননি রূপগঞ্জের বোলাররা। প্রথম ১৯ বলে ৫ রান তুলতেই দলটির ৪ উইকেট তুলে নেন তারা। দলীয় ২৫ রানে ৫ উইকেট হারায়। সবশেষে ১২ ওভার শেষে তাদের ইনিংস থামে ৬৭ রানে।
দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শাইনপুকুরে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। রূপগঞ্জের হয়ে ২ ওভার বল করে মাত্র ১ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন নাবিল সামাদ। তার বোলিং ফিগার ২-১-১-৩! বিস্ময়কর সাফল্য। মুক্তার আলী ৩ ওভারে ১৪ রানে নেন ২ উইকেট।
Discussion about this post