মাঠে দুই দল খেলেছে, কিন্তু ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রকৃতির হাতে। বৃষ্টিবিঘ্নিত চার দিনের দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্ট শেষে ড্র মেনে নিতে বাধ্য হলো বাংলাদেশ ‘এ’ ও নিউজিল্যান্ড ‘এ’। আর এতেই দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০তে জিতে নিল কিউইরা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টের চতুর্থ দিন পাওয়া যায় সবচেয়ে ভালো আবহাওয়া। কিন্তু ফল নির্ধারণে ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। তিন দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা হয়েছে খুব কম সময়। শেষ দিনে কেবল ৬০ ওভারের কম খেলা হয়, এরপর দুই দল মিলে ড্র মেনে নেয়। ফলে বাংলাদেশ সিরিজ হার এড়াতে পারল না।
চার দিনের টেস্ট সিরিজে প্রতিযোগিতার চেয়ে প্রতীক্ষাই ছিল বেশি। প্রথম ম্যাচে সিলেটে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই সিরিজ সমতা হতো, তবে বৃষ্টির ছোবলে সেটি হয়নি। ম্যাচে দুই দলের তিন ইনিংসই পুরোপুরি শেষ হয়নি। চার দিনে মোট পড়েছে মাত্র ২২টি উইকেট।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৩৫৭ রান। জবাবে কিউইরা ১২৫.২ ওভারে করে ৩৭৯ রান। চতুর্থ দিন সকালে ৪ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে তারা। সেঞ্চুরি করেন নিক কেলি-৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১৬৪ বলে করেন ১০৩ রান। আগের ম্যাচেও শতক হাঁকিয়েছিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তিনি হয়েছেন ম্যাচসেরা।
বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন অফস্পিনার নাঈম হাসান, ৪৪.২ ওভারে ১০২ রানে নেন ৪ উইকেট। পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ নেন ৩টি।
শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২ উইকেটে তোলে ৮৭ রান। ব্যাট হাতে ফের হতাশ করেন এনামুল হক বিজয় (২৪)। পুরো সিরিজে একটিও ফিফটি করতে পারেননি এই ওপেনার। সাইফ হাসান করেন ১৬ রান। অপরাজিত ছিলেন জাকির হাসান (২৪*) ও অমিত হাসান (২১*)।
সিরিজ জুড়েই ধারাবাহিকতা ছিল বড় প্রশ্ন। দুই টেস্ট মিলিয়ে বল হাতে কেবল নাঈমই দুই ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়েছেন। প্রথম ম্যাচে খালেদ আহমেদ (৬ উইকেট) ও হাসান মুরাদ (৫ উইকেট) এক ইনিংসে নজর কাড়লেও দুই ম্যাচ মিলিয়ে পারফরম্যান্সে ধার ছিল না।
ব্যাটিংয়ে একমাত্র উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, যিনি একমাত্র সেঞ্চুরি করেন। বাকিরা পঞ্চাশের ঘরেই সীমাবদ্ধ থাকেন।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দল যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। সেখানে খেলবে দুটি চার দিনের ও ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যদিও এ সফর এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি বিসিবি।
Discussion about this post