এমনটা অনুমেয় ছিল। বাতাসে যা ভাসছিল তাই হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে বোর্ড সভায় পরিচালকদের সর্বসম্মত ভোটে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রিকেট সংগঠক ও প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ফাহিম সিনহা।
আজ দুপুরে শুক্রবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) প্রজ্ঞাপনে আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তারপরপরই তার সভাপতি নির্বাচিত হওয়াকে অনেকে প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট প্রশাসনের বাইরেই ছিলেন। তবে আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে ক্রিকেট সংগঠনে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এবার সরকার মনোনীত পরিচালকের আসন থেকে সরাসরি বোর্ড সভাপতির চেয়ারে বসেন তিনি।
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আমিনুল বলেছেন, ‘আমি এই পদে স্থায়ী হতে চাই না। সরকার চেয়েছে, আমি সম্মান জানিয়েছি। নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
এই নেতৃত্ব পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে চলা বিতর্ক, অনাস্থা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ। মাত্র কয়েক মাসের মাথায় ফারুকের বিরুদ্ধে বিসিবির ৮ পরিচালক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে লিখিত অনাস্থা জানান। পরদিনই এনএসসি তার পরিচালক মনোনয়ন বাতিল করে, ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি বিসিবির সভাপতির পদ থেকেও অপসারিত হন।
ফারুক আহমেদ ইতোমধ্যে আইসিসির কাছে অভিযোগ করেছেন তার ‘জোরপূর্বক অপসারণ’ বিষয়ে। আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হলে সেই বোর্ডকে স্থগিত করার ক্ষমতা রাখে সংস্থাটি। অতীতে নেপাল, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাও এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। যদিও সেটা বেশ কঠিন। কারণ যে প্রক্রিয়ায় সভাপতি হয়েছিলেন ফারুক একই প্রক্রিয়ায় হট চেয়ারে বসলেন আমিনুল। আগেরটা বৈধ হলে এটিও নিরাপদ বলছেন বিশ্লেষকরা।
Discussion about this post