ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে কিভাবে নাম এল নিজেই জানেন না ক্রিস গেইল। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দাবি, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই গেইলকে রাখা হয়েছিল বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানিকটা ধোঁয়াশার। তবে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, এ সমস্যার শেকড়ে থাকতে পারে আর্থিক কোনো ঝামেলা। সেটা মিটে গেলে বিপিএলের আসছে আসরে দেখা যেতে পারে দ্য ইউনিভার্স বসকে।
এ মাসের মাঝামাঝি রাজধানীর একটি হোটেলে হয়েছে বিপিএল ড্রাফট। সেখান থেকে প্রথম সুযোগেই গেইলকে ডেকে নেয়
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা শেষে গেইল সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি নিজেও জানেন না, বিপিএলের ড্রাফটে কিভাবে তার নাম উঠেছে। এই বছরের বাকি সময়টায় তিনি থাকবেন বিশ্রামে।
স্বাভাবিকভাবেই গেইলের মন্তব্য প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। চট্টগ্রাম দলের জন্যও এটি এসেছে বড় ধাক্কা হয়ে। বুধবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, ড্রাফটে থাকা সব ক্রিকেটারকে নিয়ম মেনেই রাখা হয়েছিল, ‘আমি কোনো একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে বলব না। তবে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যখন আমাদের ড্রাফটে আসে, তখন আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলি। ক্রিকেটার বা তার এজেন্ট আগ্রহ দেখালে তার নাম ড্রাফটে চলে আসে। একটা প্রক্রিয়া মেনে এটি হয়, ডকুমেন্টশনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আমরা খতিয়ে দেখেছি যে, প্রক্রিয়া মেনেই তাকে ড্রাফটে রাখা হয়েছে। শুধু এই ক্রিকেটার নন, অন্য যারা আছেন, সবাইকে প্রক্রিয়া মেনেই রাখা হয়েছে।’
প্রক্রিয়া মেনে ড্রাফটে রাখা হলে গেইলের না জানার কারণ নেই। তাহলে কেন তিনি এমন মন্তব্য করলেন, সেটি নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাননি প্রধান নির্বাহী, ‘আমরা অবগত নই যে কিভাবে বা কোন পরিস্থিতিতে কথাটি এসেছে। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের এজেন্টের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। যে দলে তার খেলার কথা, তাদের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট এজেন্টের যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই একটি সমাধান হবে। প্রক্রিয়া মেনেই তাকে ড্রাফটে রাখা হয়েছিল। হয়তো আর্থিক কোনো ব্যাপার ছিল, সেই বিষয়গুলো নিয়ে তারা কাজ করছেন। সমাধান হলেই বোঝা যাবে।’
আগামী ১১ ডিসেম্বর শুরু হবে এবারের বিপিএল। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু তার আগেই দলটি পড়েছে গেইলকে নিয়ে ঝামেলায়। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটি নিয়ে কি হয়, সে দিকেই এখন তাকিয়ে বন্দর নগরীর দলটি।
Discussion about this post