বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ নেতৃত্বে এসেছে নতুন পরিবর্তন। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল আজ শুক্রবার বিসিবির অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি ও সততার জন্য পরিচিত এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের নিয়োগকে অনেকেই দেখছেন বিসিবির সামনে এক ইতিবাচক মোড় হিসেবে।
ক্রিকেটার হিসেবে বুলবুল দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। তবে খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তার বড় অবদান ছিল প্রশাসনিক ক্ষেত্রে। আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে কাজ করে তিনি বহু দেশের ক্রিকেট কাঠামো গঠনে সাহায্য করেছেন। আফগানিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ নানা দেশে কোচিং, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ঘরোয়া লিগ গঠনের কাজ করেছেন তিনি।
এই অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডে ফিরে এলেন নেতৃত্ব দিতে। এমন একজন প্রশাসককে দায়িত্বে আনা বিসিবির ভবিষ্যতের জন্য নিঃসন্দেহে আশার বার্তা। দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল নিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন এইভাবে, ‘টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে সাত ঘণ্টার। আমি একটা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে চাই।’
যদিও জানালেন কোন টাইমফ্রেম ঠিক করে সভাপতি হননি তিনি। বলছিলেন, ‘আমি বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি। কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেম নিয়ে এখানে আসিনি।’
বুলবুল দায়িত্ব নিচ্ছেন এমন এক সময়ে, যখন বিসিবিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও অনাস্থার কারণে বিদায়ী সভাপতি ফারুক আহমেদকে হঠাৎ সরে যেতে হয়। এই রদবদল ঘিরে নানা বিতর্ক থাকলেও, বুলবুলের নিয়োগে বোর্ডের ভেতরে কিছুটা স্থিরতা ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
পরিচালকরা একমত হয়েই বুলবুলকে সভাপতি নির্বাচিত করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়নে তিনি পরিচালকের পদ পান এবং সেখান থেকেই সর্বসম্মত ভোটে বোর্ডের দায়িত্ব পান। এমন একজন নিরপেক্ষ, অভিজ্ঞ এবং সম্মানিত ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের হাতে বিসিবির নেতৃত্ব থাকা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
Discussion about this post