বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ফের অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (১৭ মে) দুপুরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোর্ড কার্যালয়ে চার সদস্যের একটি বিশেষ দল উপস্থিত হয়ে বিসিবির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
এবার তাদের তদন্তের কেন্দ্রে ছিল তিনটি প্রধান ইস্যু-তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাই প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, বিসিবির গঠনতন্ত্রে বৈধতা ও কার্যকারিতা, এবং আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতির অভিযোগ।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। এবারের অভিযানে বোর্ডের ভিতরের কাঠামোগত দুর্বলতা এবং খেলোয়াড় উন্নয়নের পথ রুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি। দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের যে বাছাই প্রক্রিয়া সেটা একসময় ছিল বেশ সহজ প্রক্রিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২২ সালের পর কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, সেখানে ২-৩টার বেশি দল অংশগ্রহণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এটা অনেক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে যাচ্ছে। তাতে আমাদের জাতীয় দলের জন্য ভালো খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইনটা খুবই সীমিত হয়ে যায়। এই বিষয়টাকেই আমরা ফোকাস করেছি।’
বিসিবির পরিচালনার ভিত্তি হিসেবে থাকা গঠনতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দুদক। তাদের দাবি, আদালতের রায় অনুযায়ী সংশোধন করা হলেও গঠনতন্ত্রের অনেক জায়গায় এখনও অসঙ্গতি রয়েছে। রাজু আহমেদ বলেন, ‘একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠানের যেভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা, বিসিবির কাঠামো সেখানে অনেকটাই দুর্বল। চাকরি বিধিমালার মতো মৌলিক বিষয়ও স্পষ্ট নয়।’
আর্থিক বিষয়ে এখনই কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করতে রাজি নয় দুদক। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নথিপত্র সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই চলছে। সব তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে কমিশনে। এরপর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post