ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বেশ আগে থেকেই টি-টোয়েন্টিতে সময়টা মুশফিকুর রহিমের । দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞদের একজন হওয়ায় তার ওপর প্রত্যাশার চাপও বেশি। এসবের কোনো কিছুতেই অবশ্য চিন্তিত নন তিনি। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের ব্যাটিংকে সামনে থেকে পথ দেখাতে পারবেন বলে আশাবাদী এ তারকা।
সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮ ইনিংসে ২০ ছাড়াতে পারেননি মুশফিক। ২০১৯ সালের ভারত সফরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৩ বলে ৬০ রানের ম্যাচ জেতানো দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সবশেষ ২৫ ম্যাচে তার ফিফটি ওই একটিই। এই ২৫ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ১৬.৪৭, স্ট্রাইক রেট ১০২.৪৭।
নিজের প্রস্তুতি নিয়ে বরাবরই তিনি খুঁতখুঁতে। নিউ জিল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থতার পর তাই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এইচপি দলের বিপক্ষে দুটি একদিনের ম্যাচ খেলতে ছুটে যান চট্টগ্রামে। প্রথমটিতে খেলেন ম্যাচ জেতানো ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস। পরেরটিতে ৫২ বলে করেন ৬৩।
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে চাপটা থাকবে বেশি। মুশফিক যদিও বৈশ্বিক আসর আর অন্যান্য আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখেন না তেমন, ‘আইসিসি ইভেন্ট বা সাধারণ আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশের হয়ে যে কোনো ম্যাচই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি সুযোগ পেয়ে গর্বিত, সবার তো এমন সুযোগ হয় না। চার-পাঁচটা বড় টুর্নামেন্ট খেলেছেন, এমন একজনের ওপর অবশ্যই সবার প্রত্যাশা একটু চাপ সৃষ্টি করবে। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করি এবং দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় সেটা হয়ে ওঠে না, আবার অনেক সময় দলের জন্য যতটুকু দরকার তা দিতে পারি, যেটা খুব ভালো ব্যাপার। আশা করছি, বিশ্বকাপে আমি যেন সামনে থেকে পারফর্ম করতে পারি এবং দলের চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করতে পারি।’
মূলত ম্যাচ অনুশীলনের জন্যই ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ দুটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুষফিক, ‘আমার আসলে রানে খুব বেশি নজর ছিল না। ইচ্ছা ছিল ম্যাচের মধ্যে যেন থাকতে পারি।বলে কারণ নিউ জিল্যান্ড সিরিজের আগে আমি শেষ ম্যাচ খেলেছিলাম প্রায় আড়াই-তিন মাস আগে। (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে) টেস্টের পর চলে আসি পরিবারের কারণে। ম্যাচের মধ্যে না থাকলে ওই প্রতিযোগিতা, হাই ইন্টেন্সিটি বা প্রস্তুতিটা হয় না। যতই ব্যক্তিগত বা দলের সঙ্গে অনুশীলন করি না কেন, যতদিন ম্যাচ না খেলবেন আসল প্রস্তুতিটা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এইচপি দলে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা অনেক ভালো…তো প্রতিযোগিতামূলক একটা পরিস্থিতি যেন তৈরি হয়, সেখানে যেন চাপ থাকে, সেই চাপটা যেন আমি কাজে লাগাতে পারি। এই একটা সুযোগ খুঁজছিলাম। ধন্যবাদ বিসিবিকে যে তারা এই সুযোগটা করে দিয়েছে এবং আমি দুটো ম্যাচ খেলেছি। কিছু সময় কাটাতে পেরেছি যেটা আমার প্রস্তুতির জন্য একটু হলেও কাজে দেবে।’
বিশ্বকাপ অভিযানে আগামী রোববার ঢাকা ছাড়বে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ।
Discussion about this post