‘জেতা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু কোথায় জিতছি সেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাঠের সহজ উইকেট থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যখন বিশ্বমঞ্চে যাই, তখন সেটা ধসে পড়ে। প্রস্তুতি মানে হলো বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া।’ -এই কথাগুলো মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নয়, তার বক্তব্যের সারমর্ম।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘরের মাঠ মানেই একরকম নিরাপদ আশ্রয়। মিরপুরের পরিচিত উইকেট, নিজের কন্ডিশন, আর কিছুটা ঘূর্ণি সহায়তা-এসব কিছু মিলে বারবার বাংলাদেশ দল সাফল্য পায়। কিন্তু বিশ্বকাপে সেই আত্মবিশ্বাসের মূলে দেখা দেয় ফাটল।
বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম নান্নু আজ সরাসরি বললেন, সহজ কন্ডিশনে খেলে গড়া আত্মবিশ্বাস কাজে আসে না, ‘ট্রু উইকেটে, স্পোর্টিং উইকেটে খেলে নিজেদের তৈরি করে যাওয়াটা উচিত।’ এটা তার মতে শুধু নির্বাচকদের না, টিম ম্যানেজমেন্টেরও দায়িত্ব। দল গড়ার ক্ষেত্রেও কন্ডিশনের বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করতে হবে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক। শ্রীলঙ্কাকে সিরিজ হারানো, পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করা-সবই ইতিবাচক।
কিন্তু শেষ ম্যাচে যখন হোয়াইটওয়াশের সুযোগ ছিল, তখন একসঙ্গে পাঁচটি পরিবর্তন-এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নান্নু একটু হতাশ, ‘সিরিজ শেষ করার সময় এটা পরীক্ষার জায়গা না, বরং আত্মবিশ্বাস চূড়ায় নেওয়ার সময়।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সময় কম। তাই সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি হতে যাচ্ছে সম্ভাব্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের বড় মঞ্চ। নান্নুর বক্তব্য, ‘ভালো পারফর্মার পেলে তাদের নিয়ে এগোতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে সবার পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়।’
আগস্টে ভারত সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় এক মাস ‘ফাঁকা’। অনেকে চাইছে নেপাল বা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সিরিজ। কিন্তু নান্নু এই সময়কে ক্রিকেটারদের জন্য বিশ্রামের সুযোগ হিসেবে দেখছেন, জোর করে চাপিয়ে দিয়ে খেলার পক্ষে না।’
Discussion about this post