আগামী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি। তবে এবার জাতীয় নির্বাচনের তারিখও মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে তাদের। জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পরই বিপিএল করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। তাইতো ১০ জানুয়ারি শুরু হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল।
এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, পরবর্তী তিন বিপিএলের তারিখ চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তখন তিনি বলেন, ২০২৩ বিপিএল হবে ৫ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিপিএল ৬ জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি এবং ২০২৫ সালে হবে ১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
তার পথ ধরে এই বছরের বিপিএল হয়েছে ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি। এবার সামনের আসরের পরিকল্পনা। আর সেটি জাতীয় নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে। বিসিবির গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক শনিবার বলেন, ‘বিপিএল কবে শুরু করতে পারি, সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিংয়ে হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করব। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে-পরে একটা উপযুক্ত তারিখ দেখে বিপিএল শুরু করব। জানুয়ারীতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’
এ বছরই বিশ্বকাপ ক্রিকেট। যেটি ভারতে হবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে। সেই বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পরই দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপরই আবার নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়ে আছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফেব্রুয়ারি-মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আছে দেশের মাঠে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টুয়েন্টি। এ কারণেই বিপিএলের জন্য জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ছাড়া বিপিএল আয়োজন সম্ভব নয়।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমরা চাই ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে এবং জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায়, তাহলে আগেও করতে পারি। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে বিপিএলের উইন্ডো কম থাকে। জাতীয় দলের খেলাটাকে আমরা সর্বাধিক প্রাধান্য দেই। এর বাইরে এক মাস নেই, যেখানে আমরা বিপিএলটা করতে পারি। ভালো হতো নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে। কিন্তু ওই সময়ে জাতীয় দলের খেলা আছে।’
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের সম্ভাব্য সময়ও ঠিক করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এবার প্লেয়ার্স ড্রাফট আগেভাগেই সেরে ফেলতে চান আয়োজকরা। নির্বাচনের কারণে টুর্নামেন্টের ভেন্যু এবারও ৩টির বেশি করার সুযোগ নেই বলে দাবি গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের। অবশ্য জানা গেল- গতবারের ৭ ফ্র্যাঞ্চাজির সঙ্গে এবার যোগ হতে পারে একটি নাম।
Discussion about this post