করোনা সংক্রমণের মধ্যেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। শুক্রবার মাঠে গড়াবে ২০ ওভারের এই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অষ্টম আসর। করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ওমিক্রনের কারণে সতর্কতা বেড়েছে। এরইমধ্যে বিধিনিষেধও এসেছে দেশে। এ কারণেই বিপিএল খেলতে আসা ক্রিকেটাদের বিধিনিষেধ শিথিলের জন্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিবি।
আফ্রিকা মহাদেশের ৮টি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসলে নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন। সেই অঞ্চল থেকে আসছেন ফাফ ডু প্লেসি, কলিন ইনগ্রাম, ক্যামেরুন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা। কোয়ারেন্টাইন শিথিলতার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘গত ৩ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় একটা মিটিং ছিল। এরপর তারা আমাদেরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে আমরা এখনো চিঠিটি হাতে পাইনি, আশা করছি আগামী রোববার হাতে পাব। যদি শিথিল হয় সেক্ষেত্রে তাদের বাড়তি বিধিনিষেধ থাকছে না। এবার খুবই সহজ প্রক্রিয়া। সব ক্রিকেটারকে ডাবল ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। তারা হোটেলে উঠার আগে একবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাবে। ফল নেগেটিভ এলে হোটেলে উঠে যাবে। বিদেশি ক্রিকেটারদের ডাবল ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে আর এখানে এসে দুই বার করোনাভাইরাস পরীক্ষা দিতে হবে।’
এবারের বিপিএল হবে ৩টি ভেন্যুতে। প্রতিবার ভ্রমণের পর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর ভাবনা রয়েছে বিসিবির।
২১ জানুয়ারি পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ফাইনাল ১৮ ফেব্রুয়ারি। ভেন্যু ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম। বিপিএলের ঢাকার প্রথম পর্বে আটটি ম্যাচ। বিপিএল চলে যাবে চট্টগ্রামে। পাঁচ দিনে হবে আটটি ম্যাচ। সিলেটে ৭ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলের ম্যাচ।
Discussion about this post