শেষটা এতো বিবর্ন হবে কে জানতো? অবশ্য তিনিও যে রক্ত মাংশের মানুষ, সেটা বিদায় বেলায় ঠিকই বুঝিয়ে দিলেন। বিদায় বেলায় অতিমানবীয় কিছু নয়। একেবারে সাদামাটা হল সর্বকালের সেরা অ্যাথলেটের বিদায় পর্ব। ব্রোঞ্জ জিতে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন উসাইন বোল্ট। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে শনিবার রাতে ১০০ মিটারে তাকে টেক্কা দিয়ে সোনার পদক জিতলেন জাস্টিন গ্যাটলিন।
লন্ডন স্টেডিয়ামে ৯.৯২ সেকেন্ডে সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেন গ্যাটলিন। ৯.৯৪ সেকেন্ডে রূপা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টিয়ান কোলম্যানের। ৯.৯৫ সেকেন্ড নিয়ে তৃতীয় হন বোল্ট।
হিট আর সেমিফাইনাল ভাল না হলেও শেষটা রঙীন করতে চেয়েছিলেন ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট্রের এ গ্রহের দ্রুততম মানব। লক্ষ্য ছিল অ্যাথলেটিক্সের সবচেয়ে বড় এই আসরে ১০০ মিটারে চতুর্থ সোনা জয়ের। কিন্তু আশায় গুড়েবালি। ক্যারিয়ারের সব কিছু অর্জনের পরও বিদায় বেলায় কেমন যেন বিষাদের ছোঁয়া থাকল! তবে সবার আগে দৌড় শেষ করে ৩৫ বছর বয়সী গ্যাটলিন নতজানু হলেন কিংবদন্তি বোল্টের সামনে। এটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তার তৃতীয় সোনার পদক।
এমন হারের পর বোল্ট বলছিলেন, ‘আমি চেনা রূপে বেরিয়ে আসতে পারিনি আর জিততে পারিনি বলে দুঃখিত। আমার শুরুটাই আমাকে শেষ করে দিয়েছিল। সাধারণত আমি ধীরে ধীরে আরও ভালো করি কিন্তু এটা একযোগে আসেনি। এ কারণেই হেরেছি। তারপরও ভক্তদের সমর্থন ছিল অসাধারণ। তারা আমার সঙ্গে ছিল এবং আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে এবং আমি এটাকে সম্মান জানাই।’
১২ অগাস্ট ৪*১০০ মিটার রিলেতে দৌড়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানবেন বোল্ট। ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট্রে বিশ্বরেকর্ড টাইমিং গড়েছিলেন ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই জ্যামাইকান। ২০০ মিটার স্প্রিন্ট্রে ১৯.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে গড়েন বিশ্বরেকর্ড। ৩০ বছর বয়সী এই মহাতারকা ১০০ ও ২০০ মিটারের বিশ্ব রেকর্ড দুবার ভেঙেছেন।
এখন নিশ্চয়ই ট্র্যাকের সেইসব দিনের কথা ভেবেই অবসরের সময়গুলো পার করবেন বোল্ট। স্যালুট কিংবদন্তি!
Discussion about this post