ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রঙিন পোশাকে অভিষেক হয়েছে তিন বছর আগে। কিন্তু এখনো দলে জায়গা করে নিতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। তবে হাল ছাড়ছেন না তিনি। লড়ে যাচ্ছেন। তার সুফলটাও মিলল। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফেরার মতো ফিরলেন। বল হাতে উপহার দিলেন ওয়ানডেতে নিজের সেরা পারফরম্যান্স।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৭ উইকেটে দেলর জয়ের পর জানালেন, এভাবে নিজেকে মেলে ধরা ছাড়া উপায়ও ছিল না। মেহেদী বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্রিকেট পারফর্ম করে খেলতে হবে। আমি যদি ভালো না করি তাহলে আমাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আরেকটা খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, সব খেলোয়াড়ের প্রতিযোগিতা করে খেলতে হচ্ছে। দিন শেষে আমার নিজের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতাটা বেশি। কে বসে আছে বা খেলছে না সেটা আমি চিন্তা করি না। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য। যদি নিজের সাথে নিজে জিতি তাহলে অনেক ভালো অনুভব করি, খুশি থাকি।’
তরুণ এই অফ স্পিনার করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন। তার আগের সেরা বোলিংও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তখন ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর ওয়ানডেতে প্রথমবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন। জানাচ্ছিলেন, ‘অবশ্যই আমি খুব খুশি, অনেকদিন পর ম্যান অব দা ম্যাচ হলাম। অনেক দিন পর আমরা ওয়ানডে খেলছি। আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত।’
প্রথম ম্যাচে ৭ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট। এবার আরও সফল। বলছিলেন, ‘এই ম্যাচে শক্তভাবে ফিরে আসতে পেরেছি। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গেও। স্পিন কোচ সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। তিনি বলেছেন ঠিক জায়গায় বল রাখতে।’
অধিনায়ক তামিম ইকবালের সমর্থনও পাচ্ছেন। মিরাজ জানান, ‘তামিম ভাই দলের সিনিয়র ক্রিকেটার, অনেক সময়ই প্রেরণা জোগান। বিপিএলেও আমরা একসঙ্গে খেলি। সবসময়ই তিনি সমর্থন দেন।’
Discussion about this post