ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনা সংক্রমণ অনেক দেশেই কমতে শুরু করেছে। তার পথ ধরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সবকিছু। এরমধ্যে জুলাইয়ে টেস্ট লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বাংলাদেশে কবে ক্রিকেট ফিরবে সেটা বলা যাচ্ছে না। কারণ এখনো করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমেনি। এ অবস্থায় বিপাকে আছেন ক্রিকেটাররা।
বিশেষ করে যাদের কাছে ঘরোয়া ক্রিকেটই রুটি-রুজির বড় উৎস তারা হতাশ। মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তারা। কিন্তু এখন ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে চায়না বিসিবি।
তারপরও প্রশ্ন কবে দেশের মাঠে ফিরবে ক্রিকেট?
এমন প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে অনলাইনে একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( কোয়াব)। যেখানে সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে কোয়াব- দেরিতে হলেও যে কোন উপায়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ ফেরাতেই হবে মাঠে। কোয়াবের বক্তব্য, ‘ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরের ব্যাপারে বিসিবি স্বাস্থ্যবিধি ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ পূর্বক বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’
কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানান, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মাত্র এক রাউন্ড হওয়ার পরই তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের আয়-রোজগারের একমাত্র উৎস। তাই এই লিগকেই আমরা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেবো। এখন বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে। যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে প্রয়োজনে জাতীয় লিগ জায়গায় হলেও আমরা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ চাইবো। পরিস্থিতি বিবেচনায় দরকার হলে ম্যাচ সংখ্যা কমিয়ে এবারের প্রিমিয়ার ক্রিকেট সিঙ্গেল লিগে আয়োজন করা যায় কিনা, আমরা সেই আলোচনা করেছি।’
এদিকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। কিন্তু কোয়াবের অনলাইন সভা শেষে সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা ছড়িয়েছে। দেবব্রত পাল শ্রীলঙ্কা সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনুশীলনই তো শুরু করাই যাচ্ছে না। মিরপুর রেডজোন, কক্সবাজার রেডজোন। কোথায় অনুশীলন শুরু করবে ক্রিকেটাররা? ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি হলে ভিন্ন কথা থাকতো। কিন্তু তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যে ধরনের শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি থাকা দরকার, সেটি ক্রিকেটাররা নিতে পারেনি।’
কোয়াবের উদ্যোগে জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন- কোয়াব সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়, কোয়াব সহ-সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহামুদ সুজন, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। একইসঙ্গে ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, আব্দুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান, জহুরুল ইসলাম অমি, এনামুল হক জুনিয়র, শাহরিয়ার নাফীস, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাঈম শেখ।
Discussion about this post