অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান! এনিয়ে কতো কথাই না শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তিনি নীরবে লড়ে গেছেন। তার পুরস্কার মিলল এবার। দেশের বাইরেও মুমিনুল হক পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। ক্যান্ডি টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই স্বপ্নপূরণ।
ক্যান্ডিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরিতেই নিজেকে নিয়ে গেলেন নতুন উচ্চতায়। ইনিংসের ১১১তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে কাট করে বাউন্ডারি হাকিয়ে ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আগের দশটি শতকই ছিল দেশের মাঠে।
মুমিনুলের ঘরের মাঠে ব্যাটিং গড় ৫৬.৩৯। বিদেশে মাত্র ২২.৩০। এবার সাফল্য মিলল। ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার অনেকটাই সতর্ক ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ফিগারে পা রাখেন মুমিনুল। ধৈর্যের প্রতীক হয়ে উঠেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করেন ১১৭ বলে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে আরও ১০৭ বল। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বল কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৯৭ থেকে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন।
বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান প্রথম ১২ টেস্টে সাতটি অর্ধশতক আর চারটি সেঞ্চুরিতে দেশসেরাদের একজন হয়ে উঠেন। তিনি টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেই লড়ে যাচ্ছেন। এখন তো দলের ক্যাপ্টেনও। ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে সতীর্থ তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিলেন তিনি। ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে তামিম রয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে।
Discussion about this post