হঠাৎ করেই বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পিছিয়ে গেল। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিবীয় দ্বীপে সফরের কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু সেই সফর পিছিয়ে যাচ্ছে ৫ মাস। আসছে বছরের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে টাইগাররা।
অবশ্য সমস্যাটা উইন্ডিজেরই। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে থাকা দলটির ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে না। বাছাইপর্বের বৈতরনী পার হয়ে তবেই ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী বছর মার্চে সেই বাছাইপর্ব হওয়ার কথা। এ কারণেই বাংলাদেশের সফর পিছিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের এমন প্রস্তাবে অখুশি নয় বাংলাদেশ। কেননা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দলের ক্রিকেটারদের টানা খেলায় চিন্তিত। এর অর্থ বছরের শুরুতে বিশ্রামের কিছুটা সুযোগ মিলবে সাকিব-তামিমদের।
এ মূহুর্তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে খেলা নিয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশ। ২৭ আগস্ট মিরপুরের শেরেবাংলায় শুরু প্রথম টেস্ট। দুই টেস্টের এ সিরিজ শেষে সাকিব-মুশফিকদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রোটিয়াদের সঙ্গে দুই টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ২ নভেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) । এই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শেষ করেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় উইন্ডিজ সফর পিছিয়ে যাওয়ায় ভালই হল। মার্চে ১৫ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্টে (নিদাহাস ট্রফি) খেলে কিছুটা বিশ্রাম পাবে দল।
Discussion about this post