ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
৩০ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু এই মেলবোর্নেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। আইসিসির মেগা আসরের তৃতীয় ফাইনালকে সামনে রেখে দু’দলের সামনে ফিরে এসেছে সেই স্মৃতি।
১৯৯২’র বিশ্বকাপ এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-আইসিসির বৈশ্বিক দুটি আসরে পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠার গল্পটা প্রায় একই। ৩০ বছর আগে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার দিয়ে শুরু করে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আত্মসমর্পন, বৃষ্টিভাগ্যে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্নটা যাদের ধুসর হওয়ার কথা, সেই পাকিস্তানই কি না জিতেছে ট্রফি !
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পথচলার গল্পটা একবারেই ১৯৯২ বিশ্বকাপের মতো। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হার। দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার। তবে তৃতীয় ম্যাচ থেকে পঞ্চম ম্যাচে জেতে বাবর আজমের দল। মাঝে নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হারে পাকিস্তানের জন্য খুলে যায় সেমিফাইনালের দরজা। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে দলটি জায়গা করে নেয় শেষ চারে। সেমিতে তারা আবার শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে উঠে যায় ফাইনালে।
মেলবোর্নে পা দিয়ে বাবর আজমরা ফিরে গেছেন পূর্বসূরীদের সেই গর্বিত ইতিহাসে। ইমরান খানের অর্জনের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাবর আজমদের। শনিবার (১২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম সে লক্ষের কথাই বলেছেন—‘হ্যাঁ, (১৯৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে) মিল তো আছেই। আমরা ট্রফিটা জেতার চেষ্টা করব আর এই দলটার অধিনায়কত্ব করাও গর্বের, বিশেষ করে এমন একটা মাঠে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড)। ইনশা আল্লাহ আগামীকালের ম্যাচে আমরা নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিব। প্রথম দুই ম্যাচ হারের মাশুল দিতে হয়েছিল। কিন্তু শেষ চার ম্যাচে দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা দুর্দান্ত। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালেও তা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
বিশ্বকাপ ফাইনালের পথে ইংল্যান্ডের যাত্রাটাও কম রোমাঞ্চকর নয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের হতাশা দিয়েই শুরু হয়েছিল ইংলিশদের বিশ্বকাপ অভিযানটা। সেই ম্যাচ নিয়ে বাটলার বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি টুর্নামেন্টজুড়ে আমাদের জন্য ব্যাপক হতাশার বিষয় হয়ে ছিল। তবে অবশ্য এটা অনেক আগের বিষয় বলে মনে হয়। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে এই জায়গায় বসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে, সেই ম্যাচ থেকে আমরা বেশ কিছু শিক্ষা লাভ করেছি এবং সেটিই আমাদের চালিত করেছে। সেই হার আমাদের ধাক্কা দিয়েছিল। আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত যে ক্রিকেট আমরা খেলেছি, তাকে সেই ম্যাচের প্রতিক্রিয়ায় হিসেবে দেখতে পারি।’’
১৯৯২ সালের হারের প্রতিশোধ কি এবার নিতে চাইবে ইংল্যান্ড। এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, ‘আমি কঠিন চ্যালেঞ্জের প্রত্যাশা করছি, যেমনটা আমি আগেও বলেছিলাম। তারা এমন একটি দল, যাদের বিপক্ষে সম্প্রতি আমরা অনেক খেলেছি। দারুণ কিছু ম্যাচে আমাদের মধ্যে হয়েছে। দারুণ উদ্দীপনায় আমরা খেলেছিলাম। আমি নিশ্চিত, আগামীকালও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
Discussion about this post