আরও একটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উন্মাদনা। তবে সেই পুরনো সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার অনেক কিছুই নেই। তারমধ্যে করোনা কালে এই আয়োজনে প্রাইজমানি নিয়ে আছে প্রশ্ন। যেখানে প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের খরচসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে একেকটি দলের। কিন্তু তাদের জন্য প্রাইজমানিটা একেবারেই কম।
চ্যাম্পিয়ন দল পাবে মাত্র ১ কোটি টাকা! অবশ্য গতবার তো এটাও ছিল না। এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লা লড়বে ট্রফির জন্য। ট্রফিতে চোখ প্রতিটি দলেরই।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক বিবিএস ক্যাবলস আর পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন। ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট। ২৭ দিনে ৩৪ ম্যাচ। শুক্রবার মিরপুরে দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দিয়ে শুরু মাঠের ক্রিকেট। এদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় খেলবে মিনিস্টার ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স।
এবারের বিপিএল জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে। ডিআরএস নেই। যেটা নিয়ে আক্ষেপের কথা শুনিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটার। এমন কী বিদেশি আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার নিয়েও আক্ষেপ থাকছে এবারের বিপিএলে। করোনা কালে এছাড়া নাকি উপায়ও নেই বিসিবির।
বিপিএলের ৭ মৌসুম চলে গেলেও এখনো পরীক্ষা-নীরিক্ষাই চলছে। অথচ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ বা পাকিস্তান সুপার লিগে দাঁড়িয়ে গেছে। সুনাম ছড়িয়েছে। এনিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমরা তো ভারতের মতো দেশ না। ভারত যখন চায় তখনই আইপিএল করতে পারে। আবার বিগ ব্যাশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া খেলে। আমরা তো ওরকম না। আমাদের একটা ফিক্স স্লট যদি বের করতে পারি লং টাইম ফ্র্যাঞ্জাইজি মডেলে যাব। আমি কিন্তু বলতেছি না যে বিগ ব্যাশ মডেলে যাব। আমরা চাই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যে বিভাগের দল নিবে অন্তত সেই বিভাগে তাদের কিছু ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থাকতে হবে।’
Discussion about this post