ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আগের ব্যাচে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তবে মঙ্গলবার বাঁচা-মারার ম্যাচে এ তারকা উঠলেন জ্বলে। দলের বিপদে ধরলেন হাল। সঙ্গী হিসেবে পেলেন নাঈম শেখকে। যে কারণে বাংলাদেশ পেয়ে যায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ১৫৩ রান। নাঈম শেখ ৫০ বলে ৬৪ ও সাকিব আল হাসান করেন ২৯ বলে ৪২ রান।
বাঁচা মরার লড়াইয়ে রোববার আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। শুরুতে মাত্র ২১ রানে ২ উইকেট হারায় টাইগাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। বিলাল খানের করা স্ট্যাম্প সোজা ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর হন লিটন। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় ওমান। আজ তিন নম্বরে পাঠানো হয়েছিলো শেখ মেহেদি হাসানকে। কিন্তু তিনি পারেননি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে। আউট হয়ে গেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। ফায়াজ বাটকে ফিরতি দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মাত্র ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন চাপে বাংলাদেশ দল। তবে হাল ধরেন সাকিব ও নাঈম। তারা খেলেন অর্ধশত রানের জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসের সবচেয়ে বেশি রান এসেছে মোহাম্মদ নাদিমের করা ইনিংসের ১২তম ওভারে। প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব। এক বল পর দর্শনীয় এক ছয় মারেন নাইম। সেই ওভার থেকে আসে ১৭ রান। যার সুবাদে ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই দলীয় শতক পূরণ হয় বাংলাদেশের। কিন্তু একশ পেরুনোর ওভারেই মোড়ক লাগে টাইগারদের ইনিংসে। সেই ওভারের তৃতীয় বলেই ভাঙে সাকিব-নাইমের ৮০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। পয়েন্টের দিকে ঠেলে দিয়েই দ্রুত রানের জন্য ছুটেছিলেন সাকিব। কিন্তু অপরপ্রান্তে পৌঁছানোর আগেই আকিব ইলিয়াসের থ্রো’য়ে ভেঙে যায় স্ট্যাম্প, সমাপ্তি ঘটে সাকিবের ছয় চারের মারে খেলা ২৯ বলে ৪২ রানের ইনিংসের। এর কিছুক্ষণ পরই দ্রুত নুরুল, আফিফ ও নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকু পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। তবে মাহমুদউল্লাহ ১০ বলে ১৭ রান করে দলের সংগ্রহ ১৫০ এর ওপরেন নেন। তাই চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে টিম টাইগার্স।
Discussion about this post