ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তিনি ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছেন।
৬৪ বলে ১০৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দলকে মাত্র ২০.১ ওভারে ১৬০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে সাহায্য করেন নাঈম। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা।
চলতি লিগে নাঈম শুরু থেকেই বিধ্বংসী ফর্মে আছেন। এর আগে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এবার আবার নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের ঝলক দেখালেন তিনি। এই সেঞ্চুরির ফলে সাত ম্যাচে তার মোট রান ৪৫৯, গড় ৭৬.৫০ ও স্ট্রাইক রেট ১২০.৭৯। এখনও পর্যন্ত আর কোনো ব্যাটসম্যান চারশ রানও ছুঁতে পারেননি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর লিগে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে নাঈম নির্বাচকদের দুয়ারে আবার কড়া নাড়ছেন।
শাইনপুকুরের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন নাঈম। প্রথম ওভারেই দুটি চার মেরে ইনিংস শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করার পর ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গে সাব্বির হোসেন ৪৭ বলে ৪৮ রান করেন। দুজন মিলে ৯৪ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন।
ষোড়শ ওভারে সাব্বির আউট হলেও নাঈম ম্যাচ শেষ করে আসেন শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। ম্যাচ জেতানো বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকেই।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারায় শাইনপুকুর। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ফারজান আহমেদ। ২৫-এর বেশি রান করতে পারেননি আর কেউ। তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৫৯ রানে। শেষ দিকে শরিফুল ইসলামের ২২ রান না এলে হয়তো দেড়শও পেরোতে পারত না দলটি।
প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা শাইনপুকুরকে শুরু থেকেই চাপে রাখেন। নাজমুল ইসলাম ১০ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। শফিকুল ইসলাম ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট দখল করেন। রিশাদ হোসেন ৩৭ রানে ২ উইকেট তুলে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ১৫৯/১০ (ফারজান ৩৮, শরিফুল ২২; শফিকুল ৩/২১, নাজমুল ৩/২২, রিশাদ ২/৩৭)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ১৬২/১ (নাঈম ১০৪*, সাব্বির ৪৮; শাহিন ১/৪৫)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ নাঈম শেখ
Discussion about this post