অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুদিন নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। লড়াই করে সেই পরীক্ষায় পাশ করেছেন আরাফাত সানি। কিন্তু এবার যে সমস্যায় পড়েছেন তা কাটিয়ে উঠা সহজ হবে না। অনেকে তো বলছেন নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা সম্ভবত শেষই করে দিলেন এই স্পিনার।
স্ত্রী দাবী করে নাসরিন সুলতানা নামের এক তরুণী তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করার পর থেকেই কারাগারে আছেন আরাফাত সানি। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার একদিন রিমান্ডেও ছিলেন। তার এমন ঘটনায় জড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিব্রত। সানি আদালতে যদি দোষী প্রমানিত হলে তাকে নিষিদ্ধও করতে পারে বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মঙ্গলবার তেমন হুশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি শুরু থেকেই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এমন ঘটনায় বিসিবি বরাবরই কঠোর ছিল। এর আগে যতোবারই এমন ঘটনা ঘটেছে আমরা শাস্তি দিয়েছি। তাদের অনেক বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে এতে কাজ হবে না। আমাদের আরও কঠোর হতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে নিষিদ্ধ হতে পারে সানি। এম আচরণ যারা করে সেই সব ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
এখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে নিশ্চিত নিষিদ্ধ হবেন সানি। তার ক্যারিয়ারই শেষ। এদিকে মঙ্গলবার ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাকিম জাকির হোসেন টিপু এই আদেশ দেন।
নাসরিন নামের সেই তরুণীর আপত্তিকর কিছু ছবি সানির মোবাইল থেকে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে-এই অভিযোগের অাটক হন। জানা গেছে পারিবারিক বিষয় নিয়েই ঘটনার শুরু। যে মামলা করেছেন, তিনি নাকি আরাফাত সানির প্রথম স্ত্রী। যার সঙ্গে ওর এখন সম্পর্ক নেই। সাবেক স্ত্রীর কয়েকটি ছবি ফেসবুকে আপলোড করাতেই এই মামলা।
জাতীয় দলের হয়ে ১৬ ওয়ানডে ও ১০ টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন আরাফাত সানি। ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অ্যাকশন শুধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি। এবার ক্যারিয়ারই শেষের পথে এই স্পিনারের।
Discussion about this post