ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সন্ধ্যায় দুঃসংবাদটা পেলেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখায় দুই বছরের নিষিদ্ধ বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমে নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের এই শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। দোষ স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। মানে এক বছর পরই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
এক বিবৃতিতে নিজের ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক। সাকিব বলেন, ‘যেখেলাটিকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেই খেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে আমি দুঃখিত। কিন্তু অনৈতিক প্রস্তাবের ব্যাপারটি আইসিসি আকসুকে না জানানোয় যে শাস্তি দেয়া হয়েছে, তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। ক্রিকেটকে দূর্নীতিমুক্ত করতে আইসিসি আকসু সবচেয়ে বেশি ভরসা করে ক্রিকেটারদের সহযোগিতার উপর। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পালন করতে পারিনি।’
এখানেই শেষ নয়, সাকিব আরও বলেন, ‘শতকোটি ভক্ত আর অন্য খেলোয়াড়দের মতো আমিও চাই ক্রিকেট থাকুক দূর্নীতিমুক্ত। তাছাড়া আগামীর তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা যেন আমার মতো ভুল না করে সে জন্য আইসিসির আকসুর দুর্নীতিবিষয়ক শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবো আমি।
শাস্তি পেয়ে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে আসেন সাকিব। তখন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস আমি বলতে চাই, যেভাবে আপনারা আমাকে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছেন, বাংলাদেশের সব ক্রিকেট ভক্ত, সব মানুষ, বিসিবি, সরকার থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের সবাই আপনারা যেভাবে সমর্থন করে এসেছেন আমার ভালো এবং খারাপ সময়ে, আশা করি আপনাদের সেই সমর্থনটা থাকবে। এই সমর্থন যদি থাকে, তবে আমি ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারব। আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। ধন্যবাদ সবাইকে।’
নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর ফের ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবেন সাকিব।
Discussion about this post