দিনটা কেমন যাবে সেটা নাকি সকালেই আঁচ করা যায়। হায়দ্রাবাদে সকালটা অবশ্য বাংলাদেশেরই ছিল। শুরুটা ভাল হলেও শেষটা কিন্তু একেবারেই বিবর্ণ! কিছুতেই দিনটা টাইগারদের নয়। হবেই বা কেন, একের পর এক ক্যাচ ড্রপ, আর রান আউট মিসের মাশুল যে গুনতে হয়। যে দিনটা বাংলাদেশের হতে পারতো, তাই হল ভারতের। বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদ টেস্টের প্রথম দিনে ভারত ১ম ইনিংসের ৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ ওভারে করল ৩৫৬ রান।
প্রথমে শতরান করলেন মুরালি বিজয়। তারপর বিরাট কোহলি শেষ বিকেলে পেলেন ক্যারিয়ারের ১৬ নম্বর টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৩০ বলে শতরান। শুক্রবার সকালে উইকেটে নামবেন কোহলি ১১১ ও আজিঙ্কা রাহানে ৪৫ রানে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরইমধ্যে তারা জমা করেছেন ১২২ রান।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারতে টেস্ট খেলতে নেমে দারুণ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে দল ফিল্ডিংয়ে নামে। তাসকিন অাহমেদ প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তুলে নেন উইকেট। লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু সেই ছন্দ আর ধরে রাখা হয়নি।
ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হতে পারতেন বিজয়। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যর্থতায় অবিশ্বাস্য ভাবে সহজ রান আউট থেকে বেঁচে যান তিনি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে করেন ১০৮। এটি তার নবম টেস্ট সেঞ্চুরি।
সাকিবের হাতে জীবন পেয়ে চেতেশ্বর পুজারা করেন ৮৩ রান। পুজারা এবং বিজয় দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে করেন ১৭৮ রান। পুজারা-বিজয় দু’জনকেই জীবন দিয়েছেন সাকিব।
রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া ‘ঐতিহাসিক’ ম্যাচে টস ভাগ্য ছিল বিরাট কোহলির পক্ষে। তিনি নেন ব্যাটিং। ম্যাচে ভারতের তিন পেসার। বাংলাদেশ দলে তিন স্পিনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৫৬/৩ (রাহুল ২, বিজয় ১০৮, পুজারা ৮৩, কোহলি ১১১*, রাহানে ৪৫*, তাসকিন ১/৬৮, রাব্বি ০/৯১, সৌম্য ০/৪, মিরাজ ১/৯৩, সাকিব ০/৪৫, তাইজুল ১/৫০, সাব্বির ০/১০)।# ১ম দিন শেষে
Discussion about this post