ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফটে থাকলেও কোন দলই আগ্রহ দেখায়নি শাহরিয়ার নাফীস, আব্দুর রাজ্জাক, এনামুল হক জুনিয়রদের প্রতি। বৃহস্পতিবার হয়ে গেল এ টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফট।
চলতি মাসের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নিতে ফিটনেস পরীক্ষার মানদণ্ড বেধে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। বিপ টেস্টের ১১ মানদণ্ড পেরিয়ে ফিটনেস পরীক্ষায় ক্যারিয়ারের পড়তিতে থাকা নাফীস-রাজ্জাকরা উৎরে গিয়ে বেশ চমক দেখান। কিন্তু ড্রাফটের দিন তাদের প্রতি কোন দলই আগ্রহ দেখায়নি।
আসন্ন টুর্নামেন্টের ড্রাফটের ‘ডি ক্যাটাগরিতে’ ছিলেন নাফীস, রাজ্জাক। এই ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ধরা হয়েছিল সবচেয়ে কম ৪ লাখ টাকা। একই ক্যাটাগরিতে ছিলেন আকবর আলি, তানজিদ হাসান তামিমদের মতো উঠতি তারকারাও। দলগুলো সেই তরুণদের দিকেই ঝুঁকেছে বেশি।
বিপ টেস্টে ১২.১ স্কোর করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়র। কেউ আগ্রহী না থাকায় এই বাঁহাতি স্পিনারেরও খেলা হচ্ছে না বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। এদিকে আগ্রাসী ব্যাটসম্যানের তকমা থাকলেও দল পাননি জিয়াউর রহমান। নাঈম ইসলামের প্রতিও আগ্রহ দেখায়নি কেউ।
গত বছরের ওই প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টিতে শাহরিয়ার নাফীস এক ম্যাচে করেন ২৪ বলে ৪৬। অন্যটিতে ২৩ বলে ১৫ রান। এই ক্রিকেটারও পেলেন না দল।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে দল পেলেন না জুনায়েদ সিদ্দিক, এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম ও নাদিফ চৌধুরি। একইসঙ্গে হতাশ হলেন তানবীর হায়দার, মেহেদি মারুফ, মাহমুদুল হাসান, মিজানুর রহমান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আল আমিন ও সাদমান ইসলাম।
স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেন, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি ও জুবায়ের হোসেনকেও কেনেনি কোন দল।
এর আগেই ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ না করায় ড্রাফটে জায়গা হয়নি সোহাগ গাজী, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানির।
কে কোন দলে:
বেক্সিমকো ঢাকা: মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি।
জেমকন খুলনা: সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন সিনিয়র, এনামুল হক বিজয়, শামীম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, সালমান হোসেন, জহুরুল ইসলাম অমি।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শেখ মেহেদী, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, ইবাদত হোসেন, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, , রনি তালুকদার, আনিসুল ইমন, রেজাউর রহমান, জাকের আলি অনিক, রকিবুল হাসান (সিনিয়র), মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সানজামুল ইসলাম।
গাজি গ্রুপ চট্টগ্রাম: মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদী হসান (অ-১৯ পেসার)
ফরচুন বরিশাল: তামিম ইকবাল, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, তৌহিদ হৃদয়, তানবির ইসলাম, সুমন খান, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু সায়েম, সোহরাওয়ার্দি শুভ।
Discussion about this post