ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুই দফা দায়িত্ব পালনের পর গত বছর ফের ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল ক্রিস নেনজানির। তবে এবার এক বছর মেয়াদ ছিল। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই গত শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন সিএসএ’র সভাপতি।
নানারকম দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়েও নেনজানি সভাপতির চেয়ারটা আঁকড়ে ছিলেন দীর্ঘ সাত বছর। সিএসএ এক বিবৃতিতে নেনজানিকে বোর্ডে তার আত্মনিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভায় কাউন্সিল সদস্যদের ভোটে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সহ-সভাপতি বেরেসফোর্ড উইলিয়ামস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কাজ করে যাবেন।
অনেকদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের মধ্যে বিশৃঙ্খলা চলে আসছে। যে কারণে বিপথে দলটি। সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ছিল বিস্মরণযোগ্য। পরে ভারতের মাটিতে এসে ধবলধোলাই হয়েছে তারা টেস্ট সিরিজে। এদিকে গত ডিসেম্বরে অসদাচরণের দায়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাবাং মোরোয়েকে বহিষ্কার করে সিএসএ দায়িত্ব দেয় জ্যাক ফলকে। মোরোয়ে মামলা লড়ে যাচ্ছেন, এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। ইএসপিএন-ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এরইমধ্যে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) নাসেই আপ্পিয়াকে বরখাস্ত করে বসে সিএসএ। আপ্পিয়া বরখাস্ত হওয়ার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই পদত্যাগ করেন নেনজানি এবং সঙ্গে সঙ্গেই তা গৃহীত হয়েছে।
নেনজানির হাত ধরেই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালক পদে নিয়োগ পান দেশের সফলতম ক্রিকেট অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ও প্রধান কোচ মার্ক বাউচার। সম্প্রতি ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (বিএলএম) আন্দোলনে যুক্ত ৩০ জন সাবেক ক্রিকেটারের জোট স্মিথ ও বাউচারের নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে।
সিএসএ’র কৃষ্ণাঙ্গ সভাপতি নেনজানি অবশ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সবসময়ই স্মিথ ও বাউচারকে সমর্থন করে গেছেন। বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার জন্য তারাই যোগ্যতম লোক।
Discussion about this post