একাই ব্যাট হাতে লড়লেন মুশফিকুর রহীম। অন্যরা তেমন একটা সঙ্গ দিতে পারলেন না। তারপরও রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ তাদের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ল। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে করেছিল ৮ উইকেটে ২৫১ রান। আর এবার ১১৬ বলে ১১০ রানের অসাধারন ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করেছে টাইগারররা।
রোববার মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিং একটা অপূর্ণতাও দুর হল। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এবারই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন । তাদের বিপক্ষে আগের সেরা ছিল সৌম্য সরকারের ৯০ রান। যা ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে করেন তিনি।
বড় দুঃসময়ে এই সেঞ্চুরিটা পেলেন মুশফিক। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তার নেতৃত্ব নিয়ে নিয়ে তো প্রশ্ন উঠেই ছিল, সঙ্গে তার ব্যাটও কথা বলছিল না। কিন্তু এবার নেতৃত্ব মুক্ত হয়ে ঝলসে উঠলেন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার মনে স্বস্তি এনে দিলেন তিনি।
ডেন প্যাটারসনকে ছক্কা মেরে ৫২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন মুশফিক। এরপর কাগিসো রাবাদার বলে দুই রান নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ফিগারে যান তিনি। ১০৮ বলের ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে খেলেন দুটি ছক্কা আর ১০টি চার। ১১০ রানে অপরাজিত ১১৬ বলে থাকেন তিনি।
এটি মুশির ওয়ানডেতে ৫ম শতরান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে একটি করে। এই শতরানে শাহরিয়ার নাফীসকে (৪) টপকে গেলেন মুশফিক। সেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে টাইগারদের হয়ে তারওপরে আছে শুধু তামিম ইকবাল (৯) ও সাকিব আল হাসানের (৭)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ (ইমরুল ৩১, লিটন ২১, সাকিব ২৯, মুশফিক ১১০*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সাব্বির ১৯, নাসির ১১, সাইফ উদ্দিন ১৬; রাবাদা ৪/৪৩, তাহির ১/৪৫, প্রিটোরিয়াস ২/৪৮)
Discussion about this post