সফলতা হুট করে আসে না। আর পেসার হিসেবে টিকে থাকা তো আরও কঠিন। ইনজুরি, ফর্মহীনতা, প্রতিযোগিতা-সবকিছুর মাঝেই টিকে থাকার লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশের দুই পেস সেনানী-তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান-আজ দাঁড়িয়ে আছেন আস্থার চূড়ায়।
দুজনেরই শুরুটা ছিল আলোচিত। মুস্তাফিজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পরই আলোড়ন তুলেছিলেন কাটারের জাদুতে, তাসকিন এসেছিলেন আগুনঝরা গতির বার্তা নিয়ে। তবে সময়ের স্রোতে ক্রিকেট বদলেছে, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হয়েছে, আর এই দুই পেসারও নিজেদের ভেঙে-গড়ে প্রস্তুত করেছেন নতুন করে।
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিমের চোখে, এদের সফলতার মূলমন্ত্র একটাই-পেশাদারিত্ব। তিনি বলেন, ‘চরিত্রে তফাৎ থাকলেও কাজের জায়গায় তারা আপসহীন। কোনো অনুশীলনেই ‘না’ বলতে দেখিনি।’
তাসকিনের ব্যাপারে ডালিম বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে তার মতো সচেতন ক্রিকেটার কম দেখা যায়।” নিয়মিত জিম, রানিং, ওয়ার্কআউট—সবই করে নিষ্ঠার সঙ্গে। যেন নিজের শরীরটাই হয়ে উঠেছে পেশার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অন্যদিকে মুস্তাফিজ যেন এক নির্মোহ বুদ্ধিমান সৈনিক। চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রাখা, পরিস্থিতি বুঝে নিজের স্কিল ব্যবহার-এই দিকগুলোতেই তিনি অনন্য, ‘ক্রিকেটে সব কিছু শক্তি দিয়ে হয় না, বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হয়। সেটা মুস্তাফিজ খুব ভালো বোঝে।’
Discussion about this post