ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই যেন তামিম ইকবালের ব্যাটে রান বন্যা! ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলো ক্রিকেটের জনকদের বিপক্ষেই পেয়েছেন তিনি। সেই ২০১০ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে লর্ডসে করেন দুর্দান্ত এক শতরান। তারপর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে সেঞ্চুরি তাকে পাইয়ে দেয় উইজডেনের বর্ষসেরার সম্মান। মিরপুরে ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২০ বলে ১২৫ রানও করেন তিনি। তবে তারপরই ছন্দপতন! তারপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১০ বার ব্যাট করেছেন। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত পাননি। বৃহস্পতিবার প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেকে উজাড় করে দিলেন। খেললেন ১২৮ রানের স্মরণীয় এক ইনিংস। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহীমের ঝড় উঠানো ৭৯ রান। সব মিলিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ করল ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩০৫ রান।
কেনিংটন ওভালে টস ভাগ্য জিতে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক ইয়ন মরগান প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানে অলআউটের কলঙ্ক পেছনে ফেলে টাইগাররা এদিন গড়ে নতুন এক ইতিহাস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারই প্রথম তিনশ ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। আগের সর্বোচ্চ ২৮৮। গত বছরের অক্টোবরে মিরপুরে এই রান করেও হেরে যায় লাল-সবুজরা।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ (১২৮) করেন ওপেনার তামিম। এটি তার নবম ওয়ানডে শতরান। এটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশেরে যে কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তারও আগে শাহরিয়ার নাফীস ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ১২৩ রান।
অন্যপ্রান্তে ৭২ বলে ৭৯ করেন মুশফিকুর রহীম। তামিম- মুশফিকের ১৬৬ রানের জুটি ওভালের ইতিহাসে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোনো জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৫/৬ (তামিম ১২৮, সৌম্য ২৮, ইমরুল ১৯, মুশফিক ৭৯, সাকিব ১০, সাব্বির ২৪, মাহমুদউল্লাাহ ৬*, মোসাদ্দেক ২*; ওকস ০/৪, উড ০/৫৮, বল ১/৮২, স্টোকস ১/৪২, প্লাঙ্কেট ৪/৫৯, মইন ০/৪০ রুট ০/১৮)।
Discussion about this post