প্রথম ওয়ানডেতে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন তামিম ইকবাল। দুই বছরের অপেক্ষা শেষে পেয়েছিলেন শতরান। ফের বাংলাদেশের এই ওপেনারের ব্যাটে চমক। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তুলেন নিলেন তিনি। আর তাতেই রোববার ৭ উইকেটে অনায়াসে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টাইগাররা জিতেছিল ৭৯ রানে। ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আসে!
এক ম্যাচ আগেই জিতে নিল ওয়ানডে সিরিজ। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ এখন ২-০’তে এগিয়ে। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ২২ এপ্রিল।
শুক্রবার প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম এবং মুশফিকুর রহীম। রোববারও মিরপুরে কথা বলল দুজনের ব্যাট। শতরানের জুটি গড়লেন তারা। মুশফিক ৬৫ করে ফিরে গেলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। শেষ পর্যন্ত ১১৬ বলে করেন ১১৬ রান। আর মুশফিকের ব্যাটে ৭০ বলে ৬৫ রান। ১১৮ রানের জুটি গড়েন দু’জন। ম্যাচসেরা তামিম।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করলেন তামিম। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা দুই ওয়ানডেতে শতরান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে ২৩৯ রান। জবাব দিতে নেমে ৩৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে অনায়াসে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা। তার নেতৃত্বে সহজেই জিতল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো এটিতেও পাত্তা পেল না সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৯/৬ (আজহার ৩৬, সরফরাজ ৭, হাফিজ ০, হারিস ৪৪, ফাওয়াদ ০, রিজওয়ান ১৩, নাসিম ৭৭*, ওয়াহাব ৫১*; সাকিব ২/৫১, নাসির ১/১৭, রুবেল ২/২৭, আরাফাত ১/৪১, মাশরাফি ১/৫২)
বাংলাদেশ: ৩৮.১ ওভারে ২৪০/৩ (তামিম ১১৬*, সৌম্য ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মুশফিক ৬৫, সাকিব ৭*; আজমল ১/৪৯, রাহাত ১/৫৭, জুনায়েদ ১/৬১)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল
Discussion about this post